1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
কানাডায় স্নো স্ট্রোম
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সস্তায় বিদেশ ভ্রমণ: স্বপ্নকে সত্যি করার বিজ্ঞানসম্মত গাইড ব্রিটেনে ভিসা বদল, বাংলাদেশিদের জন্য কী পরিবর্তন ক্রিপটিক গর্ভাবস্থা – যখন নিজেই জানেন না আপনি গর্ভবতী পর্যটন ভিসায় বিদেশ গিয়ে কাজ করলে কী কী শাস্তি হতে পারে স্পা থেকে সিনেপ্লেক্স , যা যা আছে বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বিমানবন্দরে তিন বছরে পাঁচ লাখ কর্মী নেবে ইটালি, সুযোগ পেতে পারেন বাংলাদেশিরাও চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইইউতে অভিবাসী কমেছে ২০ ভাগ, শীর্ষে বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ প্রবেশে শীর্ষে বাংলাদেশ ভারতের এই গ্রামে মেয়েদেরকে কাপড় ছাড়াই থাকতে হয়

কানাডায় স্নো স্ট্রোম

  • আপডেট সময় সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩

কানাডার জীবনে কিছু ব্যাপার তো মেনে নিতেই হবে। যেমন, উইন্টারে তুষারপাত, তুষারঝড় মেনে নেওয়া ছাড়া কি কোন উপায় আছে?জলে নামবেন আর চুল ভেঁজাবেন না , তা কি হয়? কানাডায় থাকবেন আর স্নো, স্নো-স্ট্রম বাদ দিবেন, তা কি সম্ভব? এর মধ্যেই অনেকে এই সব বাঁধাবিপত্তি পেরিয়ে কাজে যায়। তাদের গাড়ি স্তুপ হয়ে থাকা স্নোর মধ্যে আঁটকে যায়। অনেক সময় তাদের গাড়ি স্কিড করে। তাতে কি হয়েছে? এর মধ্যেই জীবন-জীবিকার জন্য মানুষ বেরিয়ে পড়ে। এখানে এটাই তো জীবন!!

অনেক কাজ ফেলে রাখা যায়,পরে করলেও চলে। কিন্তু বাড়ির ড্রাইভারওয়ে, সাইডওয়ার্কে স্নোন জমে গেলে স্নো সাভলিং করা ছাড়া কি কোন উপায় আছে? সাইডওয়ার্ক,ড্রাইভারওয়ে স্লিপারি হয়ে থাকলে, লবন না ছিঁটিয়ে কি বসে থাকবেন? বসে থাকতে পারবেন না।
আবার সামারে অন্য চিত্র। ঘাস বড় হয়ে গেলে না কেঁটে উপায় নেই। কাঁটতেই হবে।

Weekly সবুজ, নিল garbage bin গুলি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতেই হবে। না রেখে উপায় নেই। ময়লা, আবর্জনা জমিয়ে রাখতে পারবেন না।

ভেবে দেখুন তো এখানে যতগুলি কাজের কথা বললাম কোন কাজটিকে আপনি না করে ফেলে রেখে দিতে পারবেন?
এটাই হচ্ছে কানাডার জীবন। এই সমস্তই এখন part of life।

দেশে যখন ছিলাম, এর কোন কিছুই আমাকে করতে হতো না। সেখানে আমি ছিলাম মহারাজা। পায়ের উপর পা রেখে আরামে জীবন কাটাতাম। তেমন কিছুই নিজেকে করতে হতো না। রান্না- বান্না, ঘর পরিষ্কার করা,কাপড় কাঁচা, প্রায় সবই অন্যেরা করে দিতো। আমার কাজ ছিল শুধু খাও-দাও, ঘুমাও, ৯টা-৫ টা অফিসে যাও। সেখানে গিয়েও গ্যাঁজাও। টুকি-টাকি অফিস কাজ করলেও করতে পারো। না করলেও অসুবিধা নাই। মাস শেষে বেতন ঠিকি পেয়ে যেতাম।

আর এখানে? কাজ না করে কি উপায় আছে? উপায় নাই গোলাম হোসেন!! সবই সিস্টেম!!
আমি একটা সিস্টেমহীন জীবন থেকে সিস্টেমের জীবনে চলে আসলাম।
একসময় সিস্টেম না দেখে দেখে অভ্যস্ত ছিলাম। মোটামুটি সিস্টেম না দেখে দেখে কাটিয়ে দিয়েছি অনেকগুলি বছর। আমার মস্তিষ্কে,মননে সিস্টেমহীনতা বাসা বেঁধে ছিল।
এখন এখানে আসার পর ১১-১২ বছর হলো। এখন কোন কিছু সিস্টেম মতো না হলে খটকা লাগে। তখন মনে হয়, এটা কি কানাডা, না অন্য কোথাও আছি?

এখন সিস্টেমে অভ্যস্ত এই আমি। মস্তিষ্ক,মননে সিস্টেম গেঁথে গেছে।
এই তো সামনে একটি সিস্টেমের বাধ্যবাধকতা আছে।
ট্যাক্স রিটার্ন!
না দিয়ে কি পার পাবেন?

এইটুকুই শুধু বলবো, It’s part of Canadian life। এই সব মেনেই আপনি এখানে কানাডিয়ান!

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com