শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন

কানাডায় যারা আসতে চান

  • আপডেট সময় রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ও ইমিগ্রান্টদের কাছে তুমুলভাবে জনপ্রিয় ছিলেন। there’s no doubt. কারণ ট্রুডো সরকারই কিন্তু সবচেয়ে বেশি ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের স্টাডি পারমিট দিয়েছেন। আবার ইমিগ্রান্টদের কথা যদি বলি সেখানেও তিনি ছিলেন উদারপন্থী। তিনিই নিজে দায়িত্বে সিরিয়া থেকে বিশ হাজার সিরিয়ানকে এনে সিটিজেন দিয়ে তাদের সব রকমের জীবনধারণের ব্যবস্থা করেছেন তিনি প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হলে। তখন সিরিয়ায় মারা*ত্মক যু*দ্ধ চলছিল।

কিন্তু চাঁদের মুখ অমাবস্যার আঁধারে ঢেকে গেছে। তিনি মোটেও আলো ছড়াতে পারছেন না আর। তাঁকে ব্যাপকভাবে দোষারোপ করা হচ্ছে স্টুডেন্ট আনার ফলে কানাডিয়ানদের কপালে চাকরি জুটছে না। এসব গ্লানি ঢোক গিলে ট্রুডো কিছুটা নিজেকে জনগণের কাছে ভালো সাজার চেষ্টা করেছেনও বটে। তাই তিনি temporary residents ও ইন্টালন্যাশনাল স্টুডেন্টদের নেওয়ার পরিমান কমিয়ে দেওয়া শুরু করেছিলেন।

তারপরেও যেসব ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টরা এদেশে আছেন তাদের বড়ো একটা আশা ছিল ট্রুডো থাকতে থাকতে যদি তারা কোনো রকম PR টা পেয়ে যেতেন ভালোই হতো। কারণ বিরোধী দল conservative ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী হবেন দলের বর্তমান নেতা Pierre Poilievre। স্টুডেন্ট ও ইমিগ্রান্টরা বিশ্বাস করেন এই বেডা মোটাও ইমিগ্রেশনের পক্ষে না। আর স্টুডেন্টরা মনে করছেন নতুন করে আসা তো কঠিন হবেই, যারা আছে তারাও PR পেতে ঘুরপাক খাবে।

ট্রুডো এইবার প্রধানমন্ত্রী থাকার মেয়াদ হলো ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। মানে ফেডারেল ইলেকশন হবে ঐ তারিখে। এতে করে স্টুডেন্টরা ভাবছিলেন তাদের আরো একটা বছর সময় আছে ট্রুডোর কাছ থেকে যদি কিছু নমনীয়তা আদায় করা যায় আর কি।

কিন্তু সে গুড়ে পুরোপুরি বালি পড়েছে। আপনারা জানেন, ট্রুডো পরপর দুইবার বিরোধী দল NDP এর সাপোর্ট নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। কারণ শেষের দুইবার তিনি যতগুলো আসন নিয়ে সংসদে এককভাবে যেতে পারতেন, ততগুলো পান নি। এনডিপি সাপোর্ট দিয়েছিল। দুই দলের মধ্যে একটা চুক্তি ছিল। একে অন্যে কথা শুনবে।

এর মধ্যে হয়েছে কি এনডিপি লিডার Jagmeet Singh ট্রুডোকে তিন তালাক দিয়ে নিজেকে সিঙ্গেল ফাদার ঘোষণা করেছেন। অর্থাৎ তিনি আর ট্রুডোকে সাপোর্ট করছেন না।

এদিকে ট্রুডো ভাই Jagmeet Singh এর খুঁটি সরানোর পর ধপাস করে মুখ থুবড়ে পড়েছেন আমার লাউয়ের মাচা ভেঙ্গে পড়ার মতো। জোরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল ট্রুডোর পদত্যাগ যে কোনো সময় শোনা যাবে। তারপরেও ছেলে সহজে ভেঙ্গে পড়ার নয়। তিনি তার বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করে চলছিলেন।

কিন্তু বিপদ যখন আসে সব দিক দিয়ে আসে। এদিকে আরেক কাণ্ড ঘটেছে। গতকাল মন্ট্রিয়ালে বাই-ইলেকশনে ট্রুডোর দল হেরে গেছে। আগুনে কেরোসিন পড়েছে। যদিও ট্রুডো নিজে মুখে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনিই তার দলকে লিড করবেন এবং আগামী ইলেকশন পর্যন্ত তিনি বহাল থাকবেন।

কিন্তু ট্রুডোর সেসব চিন্তা মনে হচ্ছে আর ধোপে টিকবে না। কারণ গতকাল মন্ট্রিয়ালে তার দলের ক্যান্ডিডেট হারার পর এখন দলের অন্যান্য বড়ো মাপের নেতারাই স্বয়ং দাবি জানাচ্ছেন ট্রুডো যেন এই মুহূর্তে পদত্যাগ করেন।

তাই যেকোনো সময় ট্রুডো ভাইয়ের চলে যাওয়ার খবর আসতে পারে মনে করছেন জনগণ। তবে তিনি ভারতে পালাচ্ছেন না শিওর। থাকবেন কানাডায়। হয়তো দূরে ঠেলে দেওয়া বউকে কাছে টেনে নেবেন।

তবে যারা কানাডায় আসার চেষ্টা করছেন তাদের জন্য আমার পরামর্শ একদম সঠিক ওয়েতে ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে আসার চেষ্টা করুন। আপাতত অন্যান্য পদ্ধতিতে আসলে অনেকটাই যু*দ্ধ করতে হবে স্থায়ী হওয়ার জন্য। আশা ভঙ্গও হতে পারে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com