কানাডার টরন্টোর ফেয়ারভিউ লাইব্রেরি থিয়েটারের মঞ্চে সুলতানা হায়দার ও অরুণা হায়দারের নির্দেশনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে গীতি নৃত্যনাট্য ইছামতীর বাঁকে। এম এ করিমের ইছামতীর বাঁকের দ্বিতীয় সফল মঞ্চায়ন ছিল এটি।
এছাড়াও ছিল অরুণা হায়দারের তত্ত্বাবধানে একটি সুকন্যা নৃত্যাঙ্গন প্রযোজনা। পুরো অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
নতুন প্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার কৃষ্টি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরাই ছিল অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য– জানিয়েছেন আয়োজকরা। উপভোগ্য পুরো অনুষ্ঠানে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছেন মা সুলতানা হায়দার ও মেয়ে অরুণা হায়দার।
মেয়ের কাছে বেড়াতে এসে নৃত্যনাট্য করার চিন্তা থেকে বিশিষ্ট কবি এম এ করিমের সৃষ্টি ‘ইছামতির বাঁকে’ মঞ্চে নিয়ে আসার জন্য কাজ শুরু করেন। গ্রামীণ কৃষাণ, কৃষাণি, জেলে, জেলেনি ও বেদে সম্প্রদায় যে নেচে গেয়ে জীবন ও সংগ্রাম উদযাপন করে, তার ধারা বেয়ে গড়ে উঠেছে লোক নৃত্যনাট্য। ইছামতীর বাঁকে লোকজ সংস্কৃতির চিত্রায়ন ফুটিয়ে তুলতে নির্দেশক সুলতানা হায়দার তার মেধার স্বাক্ষর দিয়েছেন।
টরন্টোতে নাটকটির প্রথম মঞ্চায়ন প্রচুর দর্শক প্রিয়তা পাওয়ায় তিন মাস পর দ্বিতীয় সফল মঞ্চায়ন হলো আবার ফেয়ার ভিউ থিয়েটার হলে। রোববার (১৩ অক্টোবর) ঠিক ৫টায় থিয়েটারের পর্দা ওঠে। সঞ্চালক হিমাদ্রী রায় উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের সুকন্যা নৃত্যাঙ্গনের প্রযোজনায় সবাইকে স্বাগত জানান। এটি ছিল ইছামতীর বাঁকের ১৯তম মঞ্চায়ন আর টরন্টোতে সুকন্যা নৃত্যাঙ্গনের দ্বিতীয় প্রযোজনা।
সম্প্রতি অভিবাসী হয়ে আসা নতুন মুখ ও এখানে জন্ম নেওয়া কচিকাঁচাদের অংশগ্রহণ করানোর মধ্য দিয়ে সুলতানা হায়দার এ বার্তাটি দিতে চেয়েছেন যে আসলেই টরন্টো মেধা চর্চার উন্মুক্ত মাঠ।
শুরুতেই সঞ্চালক প্রধান অতিথি হিসেবে ডা. তরুণকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখার আহ্বান করেন। সুকন্যা নৃত্যাঙ্গনের ছাত্রছাত্রী পরপর দুটি পরিবেশন শেষে সুলতানা হায়দার তার নির্দেশনায় মঞ্চে নিয়ে আসেন ইছামতীর বাঁকে। মুগ্ধতার মোহজালে বসে দর্শক-শ্রোতারা উপভোগ করেন নৃত্যনাট্য। যেটিতে বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতির ও কৃষ্টি ফুঁটে উঠেছে।