মার্কিন সতর্কবার্তার পর উদ্ভূত নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার সাময়িকভাবে আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে ঢাকা-কাতার রুটের ফ্লাইট চলাচলে। ফলে বাংলাদেশ থেকে দোহাগামী বেশ কয়েকটি ফ্লাইটের গন্তব্য পরিবর্তন বা বাতিল করা হয়েছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম জানান, একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করার পর মাঝপথ থেকেই ফিরে আসে।
কাতার এয়ারওয়েজ ঢাকা থেকে প্রতিদিন দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করে, তার শিডিউলেও বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। কাতারগামী এবং কাতার হয়ে বিভিন্ন দেশে ট্রানজিট নেওয়া যাত্রীরা বিশেষ সমস্যায় পড়ছেন।
ঢাকা থেকে কাতারের মধ্যে বাংলাদেশ বিমান, ইউএস-বাংলা ছাড়াও কাতার এয়ারওয়েজ প্রতিদিন দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করে। ঢাকা বিমান সূত্রে জানা গেছে, আকাশসীমা বন্ধের প্রভাব কাতার এয়ারওয়েজেও পড়েছে। বাংলাদেশ থেকে কাতার এবং কাতার হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রানজিট যাত্রীরা এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে কাতার কর্তৃপক্ষ তাদের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত ঘোষণার ভিত্তিতে জানানো যাচ্ছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দোহা হয়ে আগমন ও বহির্গমন করা সব বাণিজ্যিক ফ্লাইট বাতিল থাকবে।
এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা নোটাম (NOTAM A0948/25) অনুযায়ী, কাতারের বিমানচালন অঞ্চল (Flight Information Region—FIR: OTDF) পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য বন্ধ থাকবে।
এ পরিস্থিতিতে দোহা রুটে ভ্রমণের পরিকল্পনায় থাকা যাত্রীদের নিজ নিজ এয়ারলাইনস অফিসের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে যোগাযোগ করে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী ভ্রমণের সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন ঢাকা-দোহা-ঢাকা রুটে গড়ে প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন বহির্গমনকারী ও আগমনী যাত্রী যাতায়াত করেন। ফলে এই সাময়িক নিষেধাজ্ঞার প্রভাব উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যাত্রীর ভ্রমণ পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে পারে। এমন পরিস্থিতে যাত্রীসাধারণের সহানুভূতি ও সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।