ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মস্থল থেকে কাগজপত্রহীন ইমিগ্র্যান্টদের গ্রেফতার করতে পারবে না। বরং কোন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান যেন ইমিগ্র্যান্ট স্ট্যাটাসের অজুহাতে তাদের প্রতারিত/এক্সপ্লয়েট করতে না পারে সে জন্য কাজ করবে। অনেক কোম্পানী কাগজপত্রহীন কর্মচারিদের তথ্যাদি লেবার ডিপার্টমেন্টে প্রেরণ করে না। ফলে সরকার প্রাপ্য ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত হয়। এ ব্যাপারে একটি গাইডলাইন তৈরি করার নির্দেশও দিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।
ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি আলেকজান্দ্রা মেয়রকাস বুধবার ১৩ অক্টোবর ইস্যুকৃত এক মেমোরান্ডামে বলেছেন, কাগজপত্রহীনদের কাজের যায়গায় গণহারে তল্লাসী ও গ্রেফতার করা যাবে না। বরং ইউএস ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) যেসব এম্পলয়ার কর্মচারিদের এক্সপ্লয়েট করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জমানায় আইস পুলিশ বেশ কয়েকটি ওয়ার্কসাইটে গণহারে রেইড দিয়েছিল।
২০১৮ সালে টেনাসির মিট প্যাকিং প্লান্টে রেইড দিয়ে আইস ১০০ জন কর্মচারিকে গ্রেফতার করে। ২০১৯ সালে মিসিসিপি স্টেটের ফুড প্রসেসিং প্লান্টে রেইড দিয়ে আইস ৬০০ জন কাগজপত্রহীন কর্মচারিকে গ্রেফতার করে। এতে তাদের শতশত ছেলেমেয়ে বাবা মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। আমেরিকাতে অনেক এমপ্লয়ার কাগজপত্রহীন ইমিগ্র্যান্টদের কম বেতনে হায়ার করে। ভবিষ্যতে পুলিশী রেইডের ভয় দেখিয়ে তাদের প্রতারণাও করে থাকে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারির মেমোতে বলা হয়েছে, আইস লেবার ডিপার্টমেন্টের সাথে সমন্বয় রেখে খতিয়ে দেখবে চাকুরিদাতারা কর্মচারিদের প্রতারিত করছে কিনা। প্রতারিত শ্রমিকদের নিশ্চয়তা দেয়া হবে তাদের ডিপোর্টেশন বা চাকুরি হারাবার ভয় নেই। বরং মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে কর্মচারি প্রতারাণার অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইস পুলিশ এ সংক্রান্ত একটি গাইড আগামী ৬০ দিনের মধ্যে তৈরি করবে।
আজকাল