অজানাকে জানবার, অজানাকে চেনবার, অদেখাকে দেখবার ইচ্ছে মানুষের সব সময়ই অনেক বেশি। তাই সময় পেলেই মানুষ ছুটে যায় অচেনা জায়গার উদ্দেশ্যে। মন ভরে আনন্দ নিতে চায়। সপ্তাহে তাই দুটো দিন ছুটি নিয়েই এবার ঘুরে আসুন রাঁচি থেকে। রাঁচি মানেই শুধুমাত্র পাগলা গারদ নয়, সেখানে আছে সুন্দর সুন্দর তিনটি জলপ্রপাত; যা দেখলে নবকুমারের মতো আপনারও বলতে ইচ্ছে করবে ‘আহা কি দেখিলাম! জন্ম জন্মান্তরেও ভুলিবার নয়’-
কোথায় যাবেন
কিভাবে যাবেন
- প্রথমে হাওড়া স্টেশন থেকে রাঁচি গামী যে কোন একটি ট্রেন ধরে পৌঁছাতে হবে ‘রাঁচি’ স্টেশনে। রাঁচি গামী সমস্ত ট্রেনের তালিকা নিচে দিয়ে দেওয়া হল-
ট্রেনের নাম |
ট্রেন ছাড়ার স্টেশন |
কবে কখন ছাড়বে |
গন্তব্য স্টেশন |
কখন পৌঁছাবে |
সাধারণ ভাড়া |
রাঁচি শতাব্দী এক্সপ্রেস |
হাওড়া |
সকাল ৬:০৫ |
রাঁচি |
দুপুর ১:১৫ |
পরিবর্তনশীল |
রাঁচি ইন্টারসিটি এফএফ এক্সপ্রেস |
হাওড়া |
দুপুর ১২:৫০ |
রাঁচি |
রাত ৯:১০ |
১৭০ টাকা |
রাঁচি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস |
হাওড়া |
দুপুর ১২:৫০ |
রাঁচি |
রাত ১০:১৫ |
১৬০ টাকা |
ক্রিয়া যোগা এক্সপ্রেস |
হাওড়া |
রাত ৯:৩০ |
রাঁচি |
সকাল ৫:৩০ |
১৪০ টাকা |
- রাঁচি স্টেশন থেকে নেমে সেখানেই ভাড়ার অটো কিংবা অন্যান্য গাড়ি পেয়ে যাবেন। সেই গাড়ি ধরে পৌঁছে যান যে কোন একটি হোটেলে।
দর্শনীয় স্থান
- জোনহা জলপ্রপাত- এই জলপ্রপাত গৌতম বুদ্ধের নাম অনুসারে গৌতম ধারা নামেও পরিচিত। একটি গাড়ি বুক করে প্রথমে চলে যান পাহাড়টিতে। সেখান থেকে ৬০০ সিঁড়ি নিচে নেমে আসলেই পাবেন স্বচ্ছ জোনহা জলপ্রপাত।
- হুড্রু জলপ্রপাত: সুবর্ণরেখা নদী ৩২০ ফুট উপর থেকে ঝরনা হয়ে নেমে এসেছে। এখানেও সিঁড়ি বরাবর ধীরে ধীরে নেমে যেতে হবে যাওয়ার পথেই পেয়ে যাবেন বেতলসুদ ড্যাম। চেষ্টা করবেন যাতে সূর্যাস্তের সময় পৌঁছাতে পারেন এই ড্যাম থেকে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখার মজাই আলাদা।
- দশম জলপ্রপাত: ১৪৪ ফুট উঁচু থেকে কাঞ্চির জল দশ-ধারায় ঝাঁপিয়ে ‘দশম ফলস’ রূপে। এখানে জলের বুকের রামধনু দেখা যায়। এমন সুন্দর জলপ্রপাত পৃথিবীতে খুব কমই আছে।
কোথায় থাকবেন?
- এখানে প্রচুর হোটেল আছে। আপনাদের বাজেট অনুযায়ী যে কোন হোটেলে থাকতে পারেন।
কী খাবেন?
- ঝাড়খণ্ডের স্পেশাল খাবারের পাশাপাশি বাঙালি খাবারও এখানে পাওয়া যায়। তাই ইচ্ছা মত সব রকম খাবারই পেয়ে যাবেন।
আনুমানিক খরচ
Like this:
Like Loading...