অভিবাসীবান্ধব দেশ হিসেবে পরিচিত সুইডেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ওয়ার্কপার্মিট নিয়ে সুইডেনে আসেন বিপুল সংখ্যক অভিবাসী। দেশটিতে চার বছর ওয়ার্ক পার্মিট নিয়ে বসবাসের পর স্থায়ী বসবাসের আর পাঁচ বছর বসবাসের পর নাগরিকত্বের আবেদনের সুযোগ রয়েছে। ফলে অভিবাসীদের পছন্দের দেশের তালিকায় দেশটির অবস্থান শুরুর দিকেই।
কিন্তু ২০২২ সালে অভিবাসননীতিতে ব্যাপক পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় আসে বর্তমান জোট সরকার। এরপরই পাল্টাতে থাকে সে চিত্র। অভিবাসন খাতে কঠোর নিয়মনীতির কারণে হাজার হাজার আভিবাসীকে সুইডেন ছাড়তে হয়।
সুইডেনে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁর সংখ্যা দুইশোর বেশি। যার প্রায় সবগুলোতেই কাজ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। রেস্তোরাঁর চাহিদা থাকলেও কর্মী সংকটে তা হচ্ছে না। কারণ, সুইডেনের বর্তমান ওয়ার্কপার্মিটে সর্বনিম্ন বেতনে একজন কর্মী নিয়োগে প্রতিষ্ঠানের মাসিক খরচ হয় বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ লাখ টাকারও বেশি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এত অর্থ খরচ করে ওয়ার্কপার্মিটে কর্মী নেয়া তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব। যার ফলে অনেকেই কর্মী সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন।