বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন

কর্মী নেবে ইতালি, এমওইউ শিগগির: মোমেন

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০২৩

ইতালিতে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। একটা প্রস্তাব তারা দিয়েছে, আমরা এই প্রস্তাব যাচাইবাছাই করছি, করে এটা সই হবে খুব শিগগিরই।

বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিয়োগ করবে ইতালি; যাওয়ার প্রক্রিয়া ঠিক করতে সমঝোতা স্মারক সই নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

ইতালি সফর থেকে ফিরে বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ইতালিতে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। একটা প্রস্তাব তারা দিয়েছে, আমরা এই প্রস্তাব যাচাইবাছাই করছি, করে এটা সই হবে খুব শিগগিরই।

“আমরা দুটো এমওইউ সই করেছি সেখানে, তবে ওইটা এখানো হয় নাই। কারণ, এটা এখনো আলাপ আলোচনার মধ্যে আছে।”

কৃষি ও পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন লোক নেওয়ার কথা শেখ হাসিনার সফরে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে মোমেন বলেন, “আমাদের অনেক প্রবাসী ওখানে আছেন, অনেকে বৈধ, অনেকে অবৈধ। তারা বৈধ যারা তাদের চায়, বৈধর পরিমাণ আরও বাড়াবে। কিন্তু তারা অবৈধদের নিয়ে খুব দুঃশ্চিন্তায় আছে।”

অবৈধদের বৈধতা দেওয়ার আহ্বান বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন উল্লেখ করে মোমেন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেখেন বৈধ-অবৈধ, আপনার দেশে যেই আছে, সেই আপনার দেশের জন্য এবং আমার দেশের জন্য, উভয় দেশের জন্য অবদান রাখছে, সহায়তা করছে।

“ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের শ্রমিক খুব ভালো, তারা শান্তিপ্রিয়, কঠোর পরিশ্রমী। প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) বলেছেন, ‘তাহলে এক কাজ করেন, যারা অবৈধ তাদেরকে বৈধতা দিয়ে, আর যদি সবগুলো না দেন যারা ভালো কর্মী তাদের রেখে দেন। তারা আপনার উন্নয়নে সহায়ক হবে’।”

অবৈধ কর্মীদের দেখভালের ক্ষেত্রে জটিলতার বিষয়টি জর্জিয়া মেলোনি বৈঠকে তুলে ধরেছেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ওইদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেখেন অবৈধভাবে এখানে থাকে, আমরা তাদের চিনি না।

“তার ফলে আমরা তাদের কোনো রকমের মানবাধিকার বা তাদের অধিকার, তাদের কোনোভাবে সহায়তা করতে পারি না এবং এটা আমার দেশবাসীকে বোঝাতে খুব কষ্ট হয়। কারণ, যে অবৈধ অনেক কষ্টে আছে, আমার দেশবাসী তখন অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে।”

শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে ইউএনএফএসএস+২ সম্মেলনে যোগ দিতে তিনদিনের সরকারি সফরে ২৩ জুলাই ইতালির রোমে পৌঁছেন।

জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দফতরে ২৪-২৬ জুলাই ইউএনএফএসএস+২ সম্মেলনটি ‘সাসটেইনেবল ফুড সিস্টেম ফর পিপল, প্লানেট এন্ড প্রোসপারিটি: ডাইভার্স পাথওয়ে ইন এ শেয়ার্ড জার্নি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী ২৪ জুলাই বিশেষ অতিথি বক্তা হিসেবে এফএও সদর দপ্তরে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে ভাষণ দেন।

ইউএনএফএসএস+২-এ ২০ জনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ ১৬০ টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ২০০০ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা ‘ফুড সিস্টেম অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনেও অংশ নেন।

একই দিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী এফএও সদরদপ্তরে বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এফএও সদর দপ্তরে সদ্য উদ্বোধনকৃত বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

এছাড়াও, ইতালির কৃষিমন্ত্রী ফ্রান্সেস্কো ললোব্রিগিদা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি এবং বিচারমন্ত্রী কার্লো নর্দিও এফএও সদরদপ্তরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এএফও’র মহাপরিচালক কু ডংইউ, ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (আইএফএডি) এর প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিও এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি হেনসলি ম্যাককেইনও প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী ইউরোপের ১৫টি দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতগণকে নিয়ে আয়োজিত ‘আঞ্চলিক দূত সম্মেলনে’ যোগ দেন।

এছাড়া ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে শেখ হাসিনা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com