তবে কী বসে থাকবেন আর অপেক্ষা করবেন, কবে হাতে টাকা আসবে, কবে আপনি ঘুরতে বের হবেন? অবশ্যই নয়।
অল্প টাকায় ঘোরাঘুরি হয় না, এমন কথা যে ভুল, তা নিজে যাচাই করে দেখে নিন একবার। পকেটের দুর্দিনেও দারুণ সব ট্যুর দেয়া সম্ভব আপনার পক্ষে। বুদ্ধি খাটান একটু, তাতেই হবে।
দূরে কোথাও যাবেন মানেই রাতে থাকার ব্যাপার আসবে। হোটেল বা আর যেখানেই থাকুন, নিজের কারোর বাসা না হলে থাকার খরচ তো লাগবেই। বুদ্ধি করে চললে বাঁচিয়ে নিতে পারেন সেটা। কেমন করে? রাতটা যদি যাত্রাপথেই কাটিয়ে দেয়া যায়, তবে কেমন হয় ভাবুন? যেখানেই যাবনে যাত্রার সময়টা রাতে করুন। ধরুন কোথাও একদিনে ঘুরবেন, তেমন একটা ট্রিপ হবে। সেক্ষেত্রে এক রাত্রে যাবেন আর পরের রাত্রে ফিরে আসবেন, মাঝের দিনটা থাকবে ঘুরে বেড়ানোর জন্য। তাতে থাকার খরচ বেঁচে যাবে সবটা। হলো তো আপনার ইকোনমি ট্যুর প্ল্যানিং?
যাতায়াতের খরচটা যতো বেশি মানুষের মাঝে ভাগ করে নেয়া যায় ততই একজনের পক্ষে ভালো। যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার যানবাহন এবং খরচ সম্পর্কে তো জানবেনই সঙ্গে এক বাহনে সর্বোচ্চ কয়জন যেতে পারবে সেটাও জানুন। দল সেই অনুযায়ী হলে তবে ভালো হয়। খরচ একদম সুষম হবে। কাছাকাছি দূরত্বের পথ হেঁটে বেড়ান। ঘুরতেই তো যাবেন, গাড়িতে কম চড়লে কী ক্ষতি আছে? নেই নিশ্চয়। তবে এখানেও দেখুন, টাকা বাড়তি লাগছে না আপনার।
জায়গা দেখতে যাচ্ছেন, খাবারদাবারে খুব বেশি মন দিতে যাবেন না! খরচ নিয়ে চিন্তা না থাকলে তবে ঠিক আছে, কিন্তু বাজেট স্বল্পতা থাকলে খাবারের খরচটাও সীমিত রাখা চাই। অল্প খরচে ভালো মানের খাবারের দোকান খুঁজে নেবেন সম্ভব হলে ট্যুরের আগেই। ভূরিভোজ থেকে বিরত থাকা লাগবে। যাত্রার একবেলার পাশাপাশি আরো একটা বেলা শুকনো খাবারে ক্ষুধা মিটিয়ে নেয়ার চিন্তা রাখলে ভালো। পকেট ফ্রেন্ডলি ট্যুর হয়ে যাবে আপনার।
বাইরে কোথাও যেয়ে দরকারের জিনিসপত্র কেনাকাটার ঝামেলায় যাবেন না। তালিকা করে মিলিয়ে সব দরকারের জিনিস ব্যাগে রাখুন আগেভাগেই। বাসায় থাকা সামগ্রী থেকেই যতটা সম্ভব সঙ্গে নিন, তাতে নতুন করে কেনার বাড়তি খরচটা হবে না।
কৌশলগুলো কেমন হলো, জানাবেন কী? থাক আর জানাতে হবে না। এখন ঝটপট ঘোরাঘুরির প্লান করে ফেলুন।
পকেট ফাঁকা, নো টেনশন! আছে মাথায় বুদ্ধি।