রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজারের যে ৫টি নয়নাভিরাম স্থানে কেউ যায় না

  • আপডেট সময় রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতা আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ শেষে খানিকটা স্বস্তির সন্ধানে ভ্রমণপিয়াসুরা ছুটছেন নতুন বা পুরোনো গন্তব্যে। বাংলাদেশের পর্যটকদের প্রথম পছন্দই বলা চলে কক্সবাজার। বলা যায়, এখনই সময় কক্সবাজার ভ্রমণের। কারণ, সেখানে চলছে আকর্ষণীয় ছাড়। চলবেও বেশ অনেক দিন।

এ ছাড়া বিভিন্ন রিসোর্টে আছে খুবই সাশ্রয়ী মূল্যে দিনব্যাপী প্যাকেজের ব্যবস্থা। মারমেইড বিচ ক্যাফে, মুন নেস্ট, কক্সবাজার লংবিচ, ইনানী ডেরা রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, নিসর্গ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, মৌ রিসোর্টসহ অনেকে এই তালিকায়।

কক্সবাজার গেলে আমরা সাধারণ পরিচিত গন্তব্যের বাইরে যেতে চাই না। অথচ নতুন গন্তব্যে গেলে নতুনের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যায়। এ জন্য আপনাদের জন্য থাকল এমন পাঁচটি স্থানের সন্ধান, যেখানে পর্যটকেরা সচরাচর যান না।

১.কলাতলী থেকে পাটুয়ার টেক-শ্যামলাপুর সৈকত

মানুষ কক্সবাজারে গেলে সাধারণত লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা ও কলাতলী—এই জায়গাগুলোতেই যায়। কিন্তু কক্সবাজারে এমন কিছু অসাধারণ নির্জন সমুদ্রসৈকত রয়েছে, যা এককথায় দারুণ অনুভূতি দেবে। কক্সবাজারের ডলফিন পয়েন্ট থেকে পাটুয়ার টেক পার হয়ে শ্যামলাপুর বিচের দূরত্ব প্রায় ৪৭ কিলোমিটার।
যেতে সময় লাগবে এক থেকে দেড় ঘণ্টার মতো। সিএনজি, চান্দের গাড়ি সহজেই পাওয়া যাবে। সারা দিনের জন্য দরদাম করে ভাড়া করলে দেড় হাজার টাকায় পাওয়া যাবে। যাওয়ার পথে এক পাশে ঝাউবন, আরেক পাশে পাহাড় আর সমুদ্রসৈকতের মনোরম দৃশ্য, মৃদুমন্দ বাতাস ও সমুদ্রের গর্জন মুগ্ধ করবে।
শ্যামলাপুর সৈকত অতটা পরিচিত নয়। ফলে পর্যটকদের বেশ নির্জন, ভিড় একেবারেই কম। ঝাউবন, সারি সারি সাম্পান নৌকা মুগ্ধ করবে আপনাকে। এই বিচ থেকে ১৭ কিলোমিটার পেছনে গেলে পাটুয়ার টেক সৈকত। শ্যামলাপুর বিচের তুলনায় পাটুয়ার টেক সৈকত বেশ ব্যস্ত। মানুষের ভিড়ও বেশি।

রিজু খাল কায়াকিং ও সালসা সৈকত

ইনানী সৈকতের আগেই পড়বে রিজু খাল; এর উৎপত্তি মিয়ানমার। এখানে এসে পানি বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। এখানে আছে কায়াকিংয়ের ব্যবস্থা। দুজনের আধা ঘণ্টা কায়াকিং করার জন্য দিতে হবে ২৫০ টাকা। এর পরেই আছে সালসা সৈকত, যেখানে নানা রকম স্থানীয় ফল দিয়ে বুফের মতো করে পরিবেশন করা হয়। একে কাঁকড়া বিচও বলা হয়ে থাকে।

দরিয়ার নগর সৈকত

এখানেও আছে প্যারাসেইলিংয়ের ব্যবস্থা। সূর্যাস্তের সময় প্যারাসেইলিং দারুণ এক অভিজ্ঞতা হতে পারে। পারাসেইলিংয়ের খরচ সালসা বিচের মতোই হবে। এখানকার খাবার অতটা ভালো নয়। সবচেয়ে ভালো হয় শহরে ফিরে খাওয়াদাওয়া করলে।

সি পার্ল ওয়াটার পার্ক

সি পার্ল ওয়াটার পার্ক যেতে হলে কলাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে হোটেল সি ক্রাউন গিয়ে বাস ধরতে হবে। কারণ, সেখান থেকে পার্কের উদ্দেশে বাসে ছাড়ে সকাল সাড়ে ১০টায়। জনপ্রতি ভাড়া ৩০ টাকা। এই বাস মিস করলে অটোরিকশা বা মাইক্রোবাসেও যাওয়া যাবে। ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ১০০-১৫০ টাকা। ওয়াটার পার্কে ঢোকার টিকিট জনপ্রতি ৬০০ টাকা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com