1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
কক্সবাজারের মতো তিস্তার বুকে ভাসছেন দর্শনার্থীরা
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০২:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট সেজে ১২০ বার বিনামূল্যে বিমানে ভ্রমণ ঘুরতে গেলেও হতে পারে ত্বকের ক্যানসার অ্যাপে টিকিট কাটলে ১০ শতাংশ ছাড় জাজিরা এয়ারওয়েজে চাঁদে যাচ্ছেন প্রথম বাংলাদেশি নারী ভারতের যেসব জায়গায় গ্রীষ্মেও দেখা মেলে তুষারপাত আবুধাবি বিমানবন্দর হয়ে ভ্রমণ? দেরি ও বাতিলের আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষের সতর্কবার্তা ট্রানজিট যাত্রীরাও ক্ষতিগ্রস্ত? আঞ্চলিক উত্তেজনায় এমিরেটস ফ্লাইট বাতিলের মেয়াদ বাড়াল এয়ার ইন্ডিয়া ট্র্যাজেডি : স্ত্রীর শেষ বিদায়ের পর নিজেই হারিয়ে গেলেন দূর আকাশে নাগরিকত্ব পেতে ৫ মিলিয়ন ডলারের ‘গোল্ড কার্ড’, ওয়েবসাইট চালু করলেন ট্রাম্প সিলেটে প্রত্যাশার চেয়ে পর্যটক কম, ৫০ শতাংশ হোটেল-মোটেলই খালি

কক্সবাজারের মতো তিস্তার বুকে ভাসছেন দর্শনার্থীরা

  • আপডেট সময় বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০২৫

লালমনিরহাট ও রংপুরের মধ্যবর্তী মহিপুর তিস্তায় ঈদুল ফিতরের আনন্দ উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশাল সংখ্যক দর্শনার্থী এখানে সমাগম ঘটিয়েছে। যেন তিল ধারণের জায়গা নেই।

উৎসবের আনন্দে পুরো তিস্তা এলাকা নাটকীয়ভাবে মেতে উঠেছে। দর্শনার্থীরা স্পিডবোট এবং পালতোলা নৌকায় উঠতে অপেক্ষা করছেন। ফলে মহিপুর তিস্তা যেন মিনি কক্সবাজারে পরিণত হয়েছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন বিকালে সরেজমিনে তিস্তাপাড়ে দেখা যায়, দূরদূরান্ত থেকে আসা লোকজনের উপচেপড়া ভিড়। মোটরসাইকেল, অটোরিকশা এবং মাইক্রোবাসে করে দর্শনার্থীরা এখানে আসছেন এবং আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছেন। ফলে মহিপুর তিস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

তিস্তায় স্পিডবোট ও পালতোলা নৌকায় দর্শনার্থীরা দ্রুত গতিতে এ পাশ থেকে ওপাশে ছুটে চলছেন। মাত্র ৫০ টাকায় তারা তিস্তায় ভাসছেন। বড় বড় ঢেউ এসে তিস্তার পাড়ে ধাক্কা দিচ্ছে, যার ফলে তারা জলরাশির আনন্দে উন্মাদিত হচ্ছেন। এইসময় দর্শনার্থীরা তাদের প্রিয় মুহূর্তগুলো স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে ফটোগ্রাফি করছেন।

তিস্তায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থী সাবরিনা ইয়াসমিন বলেন, “প্রতি বছর ঈদে এবং নানা উৎসবে আমরা পরিবার নিয়ে মহিপুর তিস্তা এলাকায় আসি। এখানে এসে আমরা অনেক মজা করেছি, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।”

আরেক দর্শনার্থী আমিনু রহমান বলেন, “ঢাকার শহরের গণ্ডির মধ্যে আটকে থাকি, তাই ঈদে সন্তানদের নিয়ে মহিপুর তিস্তায় এসেছি। এতে বাচ্চারা অনেক আনন্দ পাচ্ছে।”

রংপুর থেকে আসা শোবন ও মিলা বলেন, “নদীর বুকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া আশির দশকের পালতোলা নৌকাগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছে। এগুলো আমাদের মতো অন্যদেরও নজর আকৃষ্ট করছে, এবং আমরা ক্যামেরায় কিছু মুহূর্ত বন্দী করতে পেরেছি।”

স্থানীয়রা জানান, মহিপুর তিস্তায় বিনোদনের স্থানের অভাবে, প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ এখানে এসে ঈদের আনন্দ উপভোগ করে। যদি সরকারের সহযোগিতায় মহিপুর তিস্তার পাড়কে উন্নতভাবে সাজানো হয়, তাহলে এখান থেকে ব্যাপক রাজস্ব আসবে, যা নদী ভাঙন কবলিত মহিপুরের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তা করবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com