এয়ারলাইন্সগুলো হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে

এয়ারলাইন্সগুলো সিন্ডিকেট করে টিকিটের মূল্য তিনগুন বাড়িয়ে হাজার হাজর কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে করে দেশের অর্থনীতির একমাত্র চালিকা শক্তি রিক্রুটিং সেক্টর চরম হুমকির মুখে পতিত হচ্ছে। চড়া দামে টিকিট ক্রয়ের দরুণ প্রবাসীদের কষ্টার্জিত হাজর হাজর কোটি ডলার এয়ারলাইন্সগুলোর মাধ্যমে বিদেশে চলে যাচ্ছে। অবিভাসী কর্মীদের জিম্মি করে টিকিটের গলাকাটি মূল্য বৃদ্ধি রোধে বিমান মন্ত্রণালয় নির্বিকার।

বাংলাদেশ বিমানের অপেশাদারিত্ব, চরম অব্যবস্থাপনা এবং হটকারি সিদ্ধান্তের কারণেই বিদেশগামী কর্মীদের টিকিট নিয়ে নৈরাজ্য চলছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কতিপয় রুটে টিকিটের ভাড়া কিছুটা কমানোর ঘোষণা দিলেও ১৬, ১৭ তারিখের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। বিমান ভাড়া কমানোর ঘোষণা বিদেশগামী কর্মীদের সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। বিমানের টিকিট কৃত্রিম সঙ্কটের দরুণ টিকিটের টাকা যোগাতে বিদেশগামী কর্মীদের নাভিশ্বাস উঠছে।

বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে সচেতন আটাব গণতান্ত্রিক ফোরাম, সচেতন হাব গণতান্ত্রিক ফোরাম, সচেতন বায়রা গণতান্ত্রিক ফোরাম ও সচেতন টোয়াব গণতান্ত্রিক ফোরাম এর সমন্বয়ে গঠিত সচেতন ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত নববর্ষের মিলনমেলায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সমিতির সভাপতি ও বায়রার সাবেক ইসির অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন, সচেতন বায়রা গণতান্ত্রিক ফোরামের আহবায়ক মো. মোশাররফ হোসেন, এমাজিং হলিডেজ এর সিইও ড.মামুন আশরাফী, বায়রার সাবেক ইসি সদস্য মো.গোলাম মাওলা রিপন, হাবের সাবেক সহসভাপতি আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, শরীফুল আলম দিপু, হাফেজ কামাল উদ্দিন, হাবের সাবেক ইসি সদস্য মিজানুর রহমান, মো.নজরুল ইসলাম, মাওলানা মোর্শেদ আলম, মাওলানা সুলতান মাহমুদ, মাওলানা রিজাউর রহমান রেদোয়ান, ডিএম এমদাদুল হক, সাজ্জাদ হোসেন উজ্জল, মহিউদ্দিন সেলিম, মাহিউল ইসলাম মাহি,সারিউল ইসলাম রাজু, জাকির হোসেন ও সিউলি আক্তার।

সভায় নেতৃবৃন্দ বিমানের গলাকাটা ভাড়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের ওয়ানওয়ে বিমানের টিকিটের মূল্য এক লক্ষ টাকা থেকে এক লক্ষ বিষ ত্রিশ এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে। বিদেশগামীদের টিকিট নিয়ে চরম নৈরাজ্যের এ ক্রান্তিলগ্নে আটাবের নিস্ক্রিয়তা, বেসরকারি বিমান চলাচল মন্ত্রনালয় ও সিভিল এভিয়েশন এর চরম ব্যর্থতার কথাও উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ আলী মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের অতীত সিন্ডিকেটের তীব্র সমালোচনা ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, এবার যেকোন ধরনের সিন্ডিকেট বরদাশত করা হবে না। তিনি শ্রমবাজার সম্প্রসারণের স্বার্থে যেকোন মূল্যে সিন্ডিকেট প্রতিহত করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: