এয়ারলাইনস রেটিংস ডটকমের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ২০২৫ সালের বিশ্বের তৃতীয় সেরা এয়ারলাইনসের স্বীকৃতি পেয়েছে এয়ার নিউজিল্যান্ড।
তবে স্বীকৃতি বগলদাবা করেই থেমে নেই এ কিউই সংস্থা। সম্প্রতি তারা সম্পূর্ণ নতুনভাবে ডিজাইন করা ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার ঝলক উন্মোচন করেছে, যেখানে উঠে এসেছে বিলাসী ভ্রমণের ঠাটবাট।
এয়ার নিউজিল্যান্ড পুনর্বিন্যাসকৃত কেবিন সার্ভিসকে চার ভাগ করেছে—বিজনেস প্রিমিয়ার, বিজনেস প্রিমিয়ার লাক্স, প্রিমিয়াম ইকোনমি ও ইকোনমি।
বিজনেস প্রিমিয়ারে রয়েছে স্লাইডিং প্রাইভেসি স্ক্রিন, ২৪ ইঞ্চির ইনফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট স্ক্রিন এবং সম্পূর্ণ শোয়ানো যায় এমন আসন, যেখানে সিনেমা দেখার সময় মাথার নিচের অংশ ওপরের দিকে তোলা যায়।
লাক্স শ্রেণীর আসনের জন্য বিজনেস প্রিমিয়ারের সামনের সারিগুলো বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যেখানে আছে সম্পূর্ণ বন্ধ করা যায় এমন দরজা, বড় বিছানা এবং একসঙ্গে দুজনের খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা।
প্রিমিয়াম ইকোনমিতে বাড়তি জায়গার পাশাপাশি থাকছে গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য সাইড উইং এবং বাইরের দিকে কিছুটা আবদ্ধ স্পেস। ফলে পেছনের যাত্রীকে বিরক্ত না করেই আসন হেলানো যাবে।
এছাড়া ইকোনমি শ্রেণীতে বসা যাত্রীদের জন্য থাকছে আগের তুলনায় ৫০ শতাংশ বড় ইনফ্লাইট স্ক্রিন, নতুন স্ন্যাক ট্রে এবং স্টোরেজের জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা। এছাড়া নতুন ইকোনমি স্ট্রেচ আসন থাকবে, যেখানে পা রাখার লেগরুম ৩৯ শতাংশ বড় রাখা হয়েছে।
নতুন ইনডোর ডিজাইন নিয়ে ড্রিমলাইনারটি ১৯ মে প্রথম যাত্রায় নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন রুটে যাত্রী পরিবহন করবে। এরপর অকল্যান্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো রুটে প্রথম দীর্ঘপথের যাত্রা সম্পন্ন করবে।