বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন

এয়ার এশিয়া

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৪ মে, ২০২৩

বাজেট এয়ার হিসেবে বিশ^ব্যাপী এয়ার এশিয়া সমাদৃত। কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম চলছে। বাজেট এয়ার বলতে বোঝায় সাশ্রয়ী মূল্যে ভ্রমন। এয়ারক্রাফ্ট থেকে শুরু করে বাকি সবই এক। শুধুমাত্র ফুড এন্ড ড্রিঙ্কস অন পেমেন্ট।

ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ফ্লাইট রাত্রে। আর মাত্র সাড়ে ৩ ঘন্টায় কুয়ালালামপুর পৌছে যাবেন। তাই ডিনার করেই আপনি ফ্লাইটে উঠতে পারছেন। বাংলাদেশের যাত্রীদের জন্য ঢাকা কুয়ালালামপুর ঢাকা রুটে ভ্রমন করলে ৩০ কেজি লাগেজসহ ৭ কেজি হ্যান্ড লাকেজ এবং খাওয়া পর্যন্ত ফ্রি দেওয়া হয়। অন্য এয়ারলাইন্সের টিকিটের মধ্যে খাবার এবং ব্যাগেজের জন্য একটা চার্জ ধরা থাকে।

আজকাল বাজেট এয়ারলাইন্স কনসেপ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। স্বল্প খরচে যেন মানুষ ভ্রমন করতে পারে দেশ বিদেশ।

২০১০ সালের দিকে এয়ার এশিয়া বাংলাদেশে নিজেরাই অপারেশন শুরু করে। কিন্তু নানা কারনে মাস ছয়েক পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে আবার ২০১৫ সালের জুলাই মাসে নতুন করে আবার ফ্লাইট অপারেশন শুরু করে। শুরু থেকেই এয়ার এশিয়া ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। এখন মানুষ উৎসাহ নিয়েই এয়ার এশিয়ায় ভ্রমন করে।

কারন এয়ার এশিয়া যাত্রীর নিরাপত্তার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। যাত্রী সেবার মান অনেক উন্নত। এয়ার এশিয়ায় ভ্রমন আরামদায়ক করার জন্য দক্ষ কর্মী বাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। যাত্রীকে ঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌছাতে এবং বিদেশ থেকে ফেরার পর তার লাগেজ যেন অল্প সময়ের ভিতর পেয়ে যান তার জন্য বিশেষভাবে দেখভাল করে। মোট কথা যাত্রীকে পরিপূর্ণ সেবা দিতে চেষ্টা করে।

বাংলাদেশে যাত্রীদের কম টাকায় ভ্রমনের সুযোগ করে দিতে পেরে এয়ার এশিয়াও আনন্দিত। এয়ার এশিয়া অত্যাধুনিক এয়ার ক্রাফ্ট এয়ার বাস ব্যবহার করে। পাঁচ ঘন্টার কম যাত্রা হলে এয়ারবাস- ৩২০ এবং পাঁচ ঘন্টার বেশি জার্নিতে এয়ারবাস- ৩৩০ ব্যবহার করে।

এটি জ¦ালানী সাশ্রয়ী এবং আসনগুলোও আরামদায়ক। আবার যারা বিজনেস ক্লাসে ভ্রমন করেন তাদের জন্য আছে প্রিমিয়াম ক্লাস। প্রিমিয়াম ক্লাসের ভাড়াটা একটু বেশি কিন্তু অন্যান্য এয়ারলাইন্সের তুলনায় কম।

এয়ার এশিয়া ১৬০টি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে। ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর হয়ে বিশে^র সব জায়গায় যেতে পারবেন।

এয়ার এশিয়া ঢাকা কুয়ালালামপুর সপ্তাহে ৭ দিন ফ্লাইট পরিচালনা করে। অষ্ট্রেলিয়া, জাপান বা অন্য কোন দেশে যাবেন, কুয়ালালামপুর থেকে কানেক্টিং ফ্লাইট পেয়ে যাবেন।

শিডিউল এবং অনলাইন এরাইভাল-ডিপার্চার পারফরমেন্স ৯৯%।

একটা এয়ারক্রাফ্ট ল্যান্ড করা থেকে শুরু করে টেক অফ করা পর্যন্ত সময় মাত্র ৩০ মিনিট। বর্তমানে যাত্রীও যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। হযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের থার্ড ফেজের কাজ শেষ হলে যাত্রী আরো বাড়বে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলে এটা হবে এ অঞ্চলের হাব।

কুয়ালালামপুর, বালিসহ অষ্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যে বেশি যাত্রী এয়ার এশিয়ায় ভ্রমন করে। মানুষের রুচির পরিবর্তন হচ্ছে তাই বিমান ভ্রমনও বাড়ছে। ২০১৯ সালে রমজান মাসের ঈদের সময় বাংলাদেশের প্রায় ৬ লাখ মানুষ বিভিন্ন দেশে ভ্রমন করে।

বেষ্ট ফেয়ারের কারনে সবার পছন্দ এখন এয়ার এশিয়া।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com