ভারতে বিমানে বোমা হামলার হুমকি যেন থামছেই না। প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিমানসংস্থার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে হুমকি বার্তা। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) নতুন করে এয়ার ইন্ডিয়ার ৩২টি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে।
একের পর এক এই ধরনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপও নিয়েছে মোদি সরকার। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, গত কয়েক সপ্তাহে ধারাবাহিক ভাবে আকাশপথে সেবাদানকারী ভারতীয় একাধিক বিমান সংস্থার কাছে বোমা হামলার হুমকি পাঠানো হচ্ছে। ডমেস্টিক ফ্লাইটগুলোতে তো বটেই, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটেও ছড়াচ্ছে বোমাতঙ্ক।
গত সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ার সময় অন্তত সাতটি ফ্লাইটেও বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। যদিও পরে দেখা যায়, সবগুলো বিমানেই বোমা রাখার তথ্য ভুয়া।
এদিকে একের পর এক ফ্লাইটে বোমাতঙ্কের ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদির সরকারের পক্ষ থেকেও একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কারা এই ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে, তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযানও চালানো হচ্ছে।
মূলত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে বোমাতঙ্ক। সেই দিকে নজর রেখে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার), মেটার মতো প্ল্যাটফর্মগুলোকে আরও সতর্ক হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনআইএ) তৎপরতায় দেশটির বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মঙ্গলবার নতুন করে এয়ার ইন্ডিয়ার ৩২টি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ানোসহ গত ১৫ দিনে ভারতজুড়ে ৪০০টিরও বেশি ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে। অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উভয় ধরনের বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রেই বোমা রাখার ভুয়া খবর ছড়িয়েছে।
আর জেরে সম্প্রতি দেশটিতে ফ্লাইট পরিষেবা বিঘ্নিতও হয়েছে। কোনও কোনও ফ্লাইট বিলম্বে রওনা দিয়েছে। কোনোটির আবার যাত্রাপথ পরিবর্তন করে অন্য কোথাও জরুরি অবতরণ করাতে হয়েছে।
এমন অবস্থায় ভুয়া খবর ছড়ানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
দেশটির বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডু গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, বোমা রাখার ভুয়া তথ্য ছড়ানোয় জড়িতদের বিমানে ওঠা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।
এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন সংক্রান্ত দু’টি আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনের কথাও ভাবছে ভারত সরকার।