আরবাজ খানের সঙ্গে দুই দশকের দাম্পত্য ভেঙেছে। অর্জুন কাপুরের সঙ্গে ছয় বছরের ‘পাকা’ প্রেমেও ভাঙন! একমাত্র নাচের অনুষ্ঠানে বিচারকের আসন ছাড়া বলিউডের সিনেমা-সিরিজের পর্দাতেও ব্রাত্য ‘মুন্নি’!
এবার সম্ভবত জীবনের রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানটাই সেরে ফেললেন মালাইকা অরোরা। জীবনের ঠিক এমনই একটি পরতে এসে পৌঁছেছেন, যেখানে ‘ছাঁইয়া ছাঁইয়া গার্ল’ একাই একশো।
মুম্বাইয়ের অভিজাত বান্দ্রা এলাকায় বিলাসবহুল এক রেস্তোরাঁ খুলেছেন অভিনেত্রী। এই ব্যবসায় মায়ের সঙ্গে যৌথভাবে রয়েছেন ছেলে আরহান খানও।
বান্দ্রা এলাকার ৯০ বছরের পুরোনো স্কারলেট পেন্টেড পর্তুগিজ বাংলোর ভোলবদলে রীতিমতো ঝাঁ চকচকে রেস্তোরাঁ তৈরি করে ফেলেছেন মালাইকা। আড়াই হাজার বর্গফুটের সেই রেস্তোরাঁর অন্দরমহল দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে। যেমন ইন্টেরিয়র, তেমনই ডিজাইনার সব কাটলারি সেট।
‘মালকিন’ মালাইকার পছন্দের তারিফ না করলেই নয়। আর্কিটেকচারাল ডাইজেস্ট নামে এক সংস্থার তরফেই অভিনেত্রীর রেস্তোরাঁর অন্দর সাজানো হয়েছে। যেখানে প্রবেশ করলেই এক ভিন্টেজ পরিবেশ পাওয়া যাবে।
পুরনো গ্রামোফোন, ভিক্টোরিয়ান চেয়ার থেকে সোফার গায়ে এলিয়ে দেওয়া উলের চাদর, ঝকঝকে চকচকে ঝাড়বাতি, নৈশভোজের জন্য ভিন্টেজ বাসনপত্র, রকমারি গাছে সাজানো মালাইকার রেস্তোরাঁ ‘স্কারলেট হাউস’।
জীবনের এই নতুন ইনিংস নিয়ে মালাইকার মন্তব্য, আমরা দুজনেই আসলে খাদ্যরসিক। আর ভীষণ মানুষজনকে নিয়ে আড্ডা দিতে পছন্দ করি। আমি আর আমার ছেলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে গিয়েছি এবং সেখান থেকে কোনো না কোনো বাহারি রান্না শিখে ফিরেছি। যেগুলো পরে বাড়িতেও বানিয়ে খেয়েছি। তাই রেস্তোরাঁ খোলা আমার কাছে সবচেয়ে অর্গানিক মনে হয়েছে।
তবে মালাইকা ও আরহানই শুধু নন, মা-ছেলের সঙ্গে এই রেস্তোরাঁর ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করেছেন আরহানের শৈশবের বন্ধু মালায়া নাগপাল এবং হোটেল ব্যবসায়ী দাভাল উদেশিও। মুম্বাইয়ের বুকে যার ‘গিগি অ্যান্ড লায়া’র মতো ফুড জয়েন্টও রয়েছে।
এদিকে মালাইকা এবং আরহান দুজনেই তাদের রেস্তোরাঁর নাম ‘স্কারলেট হাউস’ লেখা কোট পরে ছবিও তুলেছেন।