পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবন। এ বন বিশ্বের অপার বিস্ময়। সুন্দরবনের মোট আয়তন প্রায় ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার। সুন্দরবনকে বলা হয় বাংলাদেশের ‘প্রাণ’। সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। ২০০১ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এই ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাস সুন্দরবন ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। এ সময়ে পর্যটকদের জন্য বেড়ানোর একটি আদর্শ স্থান হলো সুন্দরবন। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ এ বনাঞ্চল। কী নেই সেখানে? হরিণ, বানর, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, কুমির, পাখি ও গাছপালার দেখা মেলে।
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মার্চ মাসটি সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী দেখার জন্য একটি দুর্দান্ত সময়। সারাবছরের মধ্যে এ সময়ে অনেক প্রাণীই পানির সন্ধানে ঘুরে বেড়ায়। যার মধ্যে আছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার থেকে শুরু করে হরিণ, বুনো শুয়োর, কুমিরসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি।
সুন্দরবনের বাসিন্দা হিসেবে রেসাস বানর, চিতল হরিণ, ধূসর মাথা মেছো ঈগল, নীল মাছরাঙা, নোনাপানির কুমির, করাত মাছও উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া ইরাবতি ডলফিন নামক এক প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীগুলোতে বসবাস করে।
বাহারি গাছপালা, বন্য পশুপাখি ও জীবজন্তু ঘেরা গা ছমছম পরিবেশে পরিপূর্ণ সুন্দরবন আপনাকে রোমাঞ্চকর অনুভূতি জাগাবে। এ সময়ে পানির টানে প্রাণীগুলো প্রায়ই নদীর ধারে চলে আসে। তাই ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে সুন্দরবনে গেলে এসবের দেখা মিলতে পারে।
চির সবুজের এ সুন্দরবন সৌন্দর্য, রূপ, মাধুর্যেও অনন্ত যৌবনা। এত সৌন্দর্যমণ্ডিত সুন্দরবন ভ্রমণপিপাসু মানুষ তথা বিনোদন পিপাসুদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। সে ডাকে সাড়া দিয়ে সুন্দরবন সম্পর্কে জানতে, চিনতে এবং অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আর দেরী না করাই ভালো।