চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সীমান্ত এলাকাটিতে সক্রিয় নাগরিক গোষ্ঠী হিউম্যান রাইটস লীগ অব নিস এবং গবেষকদের একটি দল গত ১০ বছরে এই এলাকায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নামের একটি তালিকা তৈরি করেছেন৷
বিশেষ করে আল্পস পর্বতমালা পার হওয়ার সময় অথবা যানবাহনের ধাক্কায় নিহত হওয়া অভিবাসীদের তালিকায় নথিভুক্ত করা হয়েছে৷
এই তালিকার উদ্দেশ্য অজ্ঞাতদের পরিচয় বের করে আনা এবং সীমান্ত নীতির দীর্ঘস্থায়ী সহিংসতা তুলে ধরা৷
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৬ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ফ্রান্স-ইটালি সীমান্তে ৪৮ জন অভিবাসী মারা গেছেন৷ তালিকায় স্থান পাওয়া অভিবাসীরা ইরিত্রিয়া, সুদান, লিবিয়া, চাদ, নেপাল, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে এসেছিলেন৷
৪৮ জনের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ অভিবাসীর বয়স ছিল ১৬ বছর৷
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে যারা মারা গেছেন তাদের নাম রয়েছে তালিকার শেষের দিকে৷ যাদের মধ্যে আছেন মোহাম্মদ, সাইকু, সাঈদ, নফানসু এবং ইয়োনাসসহ বিভিন্ন নামের অভিবাসীরা৷
সম্প্রতি ২৬ বছর বয়সি এক ইরিত্রিয়ানের মৃতদেহ সেন্ট-লুডোভিচ সেতুর কাছে সমুদ্রমুখী রাস্তায় পাওয়া গেছে৷ ইটালি এবং ফ্রান্সের সীমান্ত এই সেতুটির মধ্যেই অবস্থিত৷ যার একদিকে ইটালির ভেন্টিমিগ্লিয়া এবং অন্যদিকে ফ্রান্সের মন্তো শহর৷ এটির মাঝখানে একটি সীমান্ত চেক পোস্ট রয়েছে৷
এই সেন্ট-লুডোভিচ সেতুর ঠিক পাশেই সীমান্তে মারা যাওয়া অভিবাসীদের স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে৷ ২০২২ সালের শেষের দিকে এটি স্থাপন করা হয়েছিল৷
হিউম্যান রাইটস লীগ জানিয়েছে, সীমান্তে নিহতদের নামের তালিকার কাজ এখনও চলছে৷