জাহাজটির নাম ‘এমভি জেমিনি’। এতে আছে ৪০০ কেবিন। এক হাজার ৭৪ জন যাত্রীর ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই জাহাজ ১ নভেম্বর ইস্তাম্বুল থেকে যথাক্রমে ৫ ও ১৬ নভেম্বর বার্সেলোনা ও মিয়ামিতে পিকআপ নিয়ে যাত্রা শুরু করবে।
এই ক্রুজ ওয়েবসাইটের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘৭ মহাদেশের ১৩৫ দেশ ভ্রমণের সময় ১০০টিরও বেশি ক্রান্তীয় দ্বীপপুঞ্জ ও অগণিত পাহাড়ে আরোহণ-অন্বেষণের এই সুযোগ সত্যিই স্বপ্নের মতো।’
এই বিশ্বভ্রমণের প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত কিছু আইকনিক সাইট হলো- রিও ডি জেনিরোর ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার মূর্তি, ভারতের তাজমহল, মেক্সিকোর চিচেন ইতজা, গিজার পিরামিড, মাচু পিচু ও চীনের গ্রেটওয়াল। এমনকি জাহাজটি ১০৩টি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দ্বীপের কাছাকাছি ভ্রমণকারীদের নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ভ্রমণকালীন বছরব্যাপী প্যাকেজের সুবিধাগুলোর মধ্যে আছে- সব ডাইনিং ভেন্যুতে বিনামূল্যে অ্যাক্সেস, পড এমবার্কেশন সিস্টেম ও স্টোরেজ, বিনামূল্যে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা, চিকিৎসা পরামর্শ, জিপিএস সহ একটি অনবোর্ড অ্যাপ।
এমনকি ডিনারের সঙ্গে অ্যালকোহল, পোর্ট ফি ও ট্যাক্স, পরিষেবা চার্জ, জিম ও ফিটনেস, লন্ড্রি , হাউসকিপিং, সমৃদ্ধকরণ সেমিনার, পানীয়, গল্ফ সিমুলেটর, বিনোদন ও পারফরম্যান্স।
সমুদ্রযাত্রার প্রকৃতি ও সময়কাল বিবেচনায় রেখে এই জাহাজে আছে দুটি মিটিং রুম, ১৪টি অফিস, একটি ব্যবসায়িক লাইব্রেরি, একটি আরামদায়ক লাউঞ্জ ও একটি ক্যাফে, ওয়াইফাই, প্রিন্টার, কনফারেন্স সরঞ্জাম ও স্ক্রিন’সহ দূরবর্তী কাজের সুবিধা।
সংস্থাটি একটি ম্যাচমেকিং স্কিমও চালু করছে। যেখানে যাত্রীরা বিভিন্ন সময় ও মৌসুমে চাইলে অন্য কারও সঙ্গে একটি কেবিন ভাগাভাগি করতে পারবেন। আরও নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকছে এমভি জেমিনি জাহাজে।
সূত্র: সিএনএন