রেস্তোরাঁ, কার ওয়াশ, মুদি দোকান ইত্যাদি জায়গায় অবৈধভাবে কাজ করা এবং জাল কাগজপত্র রাখার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এই অভিযানে তার পরনে ছিল বুলেটপ্রুফ ভেস্ট। নির্বাচন সামনে রেখে অবৈধ অভিবাসন বন্ধের বিষয়টি সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছেন সুনাক।
গত বছরের ডিসেম্বরে ঋষি সুনাক ঘোষণা দিয়েছিলেন, নৌকায় চড়ে অবৈধভাবে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে আসা তিনি বন্ধ করবেন। এর পর জানুয়ারি-মার্চ সময়ে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের ঘটনা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, `অবৈধ কর্মীরা আমাদের সমাজের ক্ষতি করছে, সৎ কর্মীদের চাকরিছাড়া করছে। তারা কোনো কর দেয় না, ফলে সরকারের তহবিল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, `প্রধানমন্ত্রী যেমনটি নির্ধারণ করেছেন, আমরা আমাদের সীমান্ত আইনের লঙ্ঘন বন্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা জানি, অবৈধভাবে কাজ করার সুযোগ মিলবে, এই আশা নিয়েই বিপজ্জনক যাত্রায় যুক্তরাজ্যে আসছে অবৈধ অভিবাসীরা। আজকের এই অভিযানগুলো তাদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা যে আমরা তাদের পক্ষে দাঁড়াব না।’
অভিযানে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৪০ জনকে যুক্তরাজ্য থেকে বের করে দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাকিদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা করছে, এই অভিযানের ফলে অবৈধ অভিবাসীদের অনেকে স্বেচ্ছায় যুক্তরাজ্য ত্যাগ করবে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্মকর্তারা ১৩০৩টি অভিয়ান চালয়েছে।