রতের সাহায্য সত্ত্বেও, এই দেশের শাসকরা বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতবিরোধী মনোভাব উস্কে দিচ্ছেলেন। সম্প্রতি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর থেকে এই ভারতবিদ্বেষ ফের মাথাচাড় দেয়। দেশটি হল মালদ্বীপ। এই দেশ ভারত মহাসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। যা প্রায় ১২০০ দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। তবে, মালদ্বীপের জনসংখ্যা মাত্র ২০০টি দ্বীপেই সীমাবদ্ধ। ২০০টির মধ্যে ১২টি দ্বীপ পর্যটকদের জন্য, যেখানে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য রিসর্ট, হোটেল এবং নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ছয় লক্ষ পর্যটক এখানে আসেন। বেশিরভাগ পর্যটক ভারত থেকে আসেন। মালদ্বীপে সাতটি প্রদেশ রয়েছে।
কিন্তু, আপনি কি জানেন যে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত মালদ্বীপ হিন্দু রাজাদের শাসনাধীন ছিল। পরে এটি বৌদ্ধধর্মের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। তামিল চোল রাজারাও এখানে রাজত্ব করেছেন। কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে এই দেশ একটি মুসলিম রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হতে শুরু করে। বর্তমানে ইসলাম মালদ্বীপের রাষ্ট্রীয়-ধর্ম। এ দেশে কোনও অ-মুসলিম নাগরিক হতে পারে না।
ঐতিহাসিক প্রমাণ অনুসারে, মালদ্বীপের ইতিহাস ২,৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো। মালদ্বীপের প্রথম বসতি স্থাপনকারীরা সম্ভবত গুজরাটি ছিলেন। এঁরা প্রায় ৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শ্রীলঙ্কায় এসে বসতি স্থাপন করেছিলেন। সেখান থেকে কেউ কেউ মালদ্বীপে চলে যান। মালদ্বীপের প্রথম বাসিন্দারা ধেবি নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁরা ভারতের কালিবঙ্গন থেকে সেখানে যান। মালদ্বীপের প্রথম রাজবংশ, ‘সৌর রাজবংশ’ হিসাবে পরিচিত ছিল। কিন্তু সেই ইতিহাস লিপিবদ্ধ তাম্রলিপিগুলি অনেক আগেই হারিয়ে গিয়েছে।
মালদ্বীপ একটি সুন্নি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন এবং তাঁর দল দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদকে উৎসাহিত করেছিল বলে মনে করা হয়। এখান থেকে অনেক যুবক সিরিয়ায় গিয়ে জঙ্গি সংগঠন আইসিসে যোগ দিয়েছিল। এখন মালদ্বীপে যে দলটি ক্ষমতায় আছে তাদের উপর ইয়ামিনের প্রভাবে রয়েছে। এই কারণেই সেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতবিরোধী পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে।