বর্তমানে জুতো সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ, সবেতেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দখলদারি। যদিও এই প্রযুক্তির রমরমা নিয়ে অনেকের কপালেই চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। আশঙ্কা চাকরি যাওয়ার! তবে এরই মধ্যে বাজারে যাদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি তাঁরা হলেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ এআই ইঞ্জিনিয়ার। আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যতই মানুষের বিকল্প হয়ে উঠুক না কেন, এআই ইঞ্জিনিয়ার হতে পারলে কিন্তু আগামী দিনে আপনার কেরিয়ার থাকবে তুঙ্গে। রয়েছে মোটার বেতনের কর্মসংস্থানের সুযোগও। তাহলে কীভাবে হবেন এআই ইঞ্জিনিয়ার? জানুন বিশদে।
এআই ডেভলপমেন্ট এবং প্রোডাকশন পরিকাঠামো তৈরি করা এবং তারপর সেগুলি বাস্তবায়িত করা এআই ইঞিনিয়ারদের দায়িত্ব থাকে। সেক্ষেত্রে সেইসকল ইঞ্জিনিয়াররা মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম এবং ডিপ লার্নিং-এর নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এআই মডেল তৈরি করেন। মূলত এআই সিস্টেমকে আরও উন্নত করা এবং দেখভাল করাই এআই ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ।
এআই ইঞ্জিনিয়ারদের ক্ষেত্রেও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও অঙ্ক সহ সায়েন্স বিভাগে পড়াশোনা করা জরুরি। বিষয় হিসাবে স্ট্যাটিসটিক্স থাকলেও চলবে।
উচ্চশিক্ষা
পেশার জগতে এআই ইঞ্জিনিয়ার নতুন হলেও আগামী দিনে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের অত্যন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। যার জন্য স্নাতক স্তরে ব্যাচেলর অফ টেকনোলজি (বিটেক) কিংবা তথ্য প্রযুক্তি, কম্পিউটার সায়েন্স, স্ট্যাটিসটিক্সের মতো বিষয়ে বিএসসি পড়তে হবে। একইসঙ্গে শিখতে হবে ডেটা সায়েন্স এবং মেশিন লার্নিং। এরপর এআই ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করতে হবে।
সার্টিফিকেট কোর্স
পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপরে ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা পড়ানো হয়। বিভিন্ন সার্টিফিকেট কোর্সের মাধ্যমে এআই ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কেরিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে।
অভিজ্ঞতা
ডিগ্রির পাশাপাশি এআই ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য প্রার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ অঙ্ক, স্ট্যাটিসটিক্স এবং কম্পিউটার সায়েন্স যেমন জরুরি তেমনই বাস্তব পৃথিবীর হাতে-কলমে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকাও জরুরি।
বেতন