বিশ্ব যুব দিবসকে কেন্দ্র করে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন যেন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। পহেলা আগস্ট ৩ লাখ অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতিতে দিবসটি উদযাপিত হয়। তবে গত ৪ আগস্ট অনুষ্ঠানের একটি ইভেন্টে ৮ লাখেরও বেশি তরুণ অংশগ্রহণ করেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে পর্তুগালের রাজধানী যেন এক অন্য রূপ ধারণ করেছে। লাখ লাখ তরুণ-তরুণীর পদচারণায় মুখর রাস্তাঘাট। তাদের সবার হাতে নিজ নিজ দেশের জাতীয় পতাকা। কেউ কেউ চিৎকার করে নিজের দেশের নাম ধরে স্লোগান দিচ্ছিলেন আবার কেউ নিজ দেশের জনপ্রিয় গানগুলো গাইছিলেন।
এসময় যুক্তরাষ্ট্র, বলিভিয়া, সুইডেন, ফিলিপিন, পর্তুগাল এবং স্পেনের বেশ কিছু তরুণ-তরুণী একইসঙ্গে গল্প করতে দেখা যায়। তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা একে অপরের ইতিহাস ঐতিহ্য জানাচ্ছি এবং জানছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা সংযুক্ত থাকব। এর ফলে আমাদের জানার পরিধি আরও বাড়বে।
এদিকে এ জমায়েতকে কেন্দ্র করে জনজীবনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলেও সবাই বিষয়টা খুব স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছেন। এমনকি এই তরুণদের এই কলরবকে আনন্দের বার্তা হিসেবেই দেখছেন পর্তুগিজরা।
স্থানীয় এক পর্তুগিজ জোয়াও অলিভেইরা জানান, বিনামূল্যে ইতালির দুই তরুণকে বাসায় রেখেছেন তিনি। কেননা এত লোকের আগমনে শহরে থাকার জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে। অপরিচিত মানুষদের বাসায় জায়গা দিতে পেরে বেশ আনন্দিত তিনি।
এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট হিসাব না পাওয়া গেলেও আশা করা হচ্ছে, ৬ দিনের এ আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করবে।