মানুষের গড় বয়স এখানে ১১০ থেকে ১২০ বছর ৷ মেয়েদের ৬৫ বছর বয়স পর্য্যন্ত যুবতী মনে হয় ।এরা এই বয়সে অনায়াসে সন্তানধারন করতে পারে ।এই উপত্যকাটি সেই জায়গায় যেখানে ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত সংযুক্ত হয়েছে ।
হুঞ্জা উপজাতির জনসংখ্যা প্রায় ৮৭,০০০ ৷এদের জীবনযাত্রায় আজও আধুনিকতার প্রবেশ বিশেষ কিছু ঘটেনি । কয়েকশ বছর একই ভাবে চলছে ।।মানুষ এখানে খুব কম অসুস্থ হয়। তবে, গত কয়েক দশকে এখানে বিশেষ করে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আধুনিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
সড়ক পথের উন্নয়ন, যেমন কাশ্মীর সড়ক, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (CPEC), এবং আঞ্চলিক বিমান চলাচল, এর মাধ্যমে সহজে গিলগিট বালতিস্তানের সঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এছাড়াও, টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট সুবিধা, এবং আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থাপন গিলগিট বালতিস্তানে আধুনিকতার আগমনকে ত্বরান্বিত করেছে। অঞ্চলটির কৃষি এবং পর্যটন খাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে, যেমন উন্নত বীজ ব্যবহার এবং কৃষির উন্নত উপকরণ।
এর ফলে, এখানে জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে, তবে এখনও প্রাকৃতিক পরিবেশ ও ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা অনেকাংশে রক্ষিত রয়েছে। কারও টিউমার হয়েছে বলে কেউ কখনও শোনেনি । এরা বেশী মধু খায় , বরফ ঠান্ডা জলে স্নান করে ।নিজেদের উৎপন্ন করা শস্য ও সব্জি খায় । অল্প খায় ও হাঁটে বেশী , দিনে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কিমি । যখন হাসে যেন মুক্তো ঝরে পরে ।
তাদের জীবনযাত্রা দেখে মনে হয় যে প্রকৃতি ও স্বাস্থ্যসচেতন জীবনযাপন দীর্ঘায়ু অর্জনের এক মূল্যবান চাবিকাঠি হতে পারে। পাকিস্তানের সবচেয়ে উত্তরের প্রশাসনিক অঞ্চল।পূর্বে এটি উত্তরাঞ্চল নামে পরিচিত ছিলো।এর দক্ষিণে কাশ্মীর, পশ্চিমে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ, উত্তরে আফগানিস্তানের ওয়াখান করিডোর, পূর্ব ও উত্তরপূর্বে চীনের স্বায়ত্তশাসিত জিনজিয়াং অঞ্চল এবং দক্ষিণপূর্বে ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর অবস্থিত।