রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৫ অপরাহ্ন

উদ্বোধনের অপেক্ষায় সমুদ্রের বুকে দীর্ঘতম রানওয়ে

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩

সমুদ্রের বুক ছুঁয়ে নামবে উড়োজাহাজ। এমন দৃশ্য দেখতে যেমন উপভোগ্য ঠিক তেমনি রোমাঞ্চকরও। দেশের ইতিহাসে এই এক চ্যালেঞ্জিং কাজের সুন্দর সমাপ্তি করতে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এই বছরের অক্টোবর মাসেই শেষ হবে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম রানওয়ের নির্মাণ কাজ। অক্টোবর মাস থেকেই কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দিবারাত্রি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ওঠানামা করার আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

অবতরণে সময় মনে হবে সাগরের পানিতেই নামছে উড়োজাহাজ। চারদিকে সমুদ্র জলের ঠিক মাঝখানে ১ হাজার ৭ শ ফুট রানওয়ে। মুহূর্তেই পাল্টে যাবে অনুভূতি। দীর্ঘ উড়োজাহাজ যাত্রায় গন্তব্যে পৌঁছানোর সময় আকাশ থেকে দেখা যাবে বিমান বন্দরের সৌন্দর্য।

২০১২ সালে কক্সবাজার বিমান বন্দরকে ঘিরে মাস্টার প্ল্যান করে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু জমি স্বল্পতায় রানওয়ে সম্প্রসারণ নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। শেষ পর্যন্ত সমুদ্র ভরাট করেই নেয়া হয় রানওয়ে করার সিদ্ধান্ত। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে, ২০২১ সালে শুরু হয় রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ।

প্রথমে বিমানবন্দরের আগের রানওয়ে ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৯ হাজার ফুটে উন্নীত করা হয়। পরে সেটিকে আরও ১ হাজার ৭ শ ফুটে বাড়িয়ে ১০ হাজার ৭শ ফুটে দাড়ায় রানওয়ে। কাজের শুরুটাই ছিল বেশ চ্যলেঞ্জিং। খনন করা হয় সমুদ্রের তলদেশ। বিশাল ঢেও থেকে রানওয়েকে সুরক্ষা দিতে চারপাশে বসানো হয় ব্লক। দেয়া হয় শক্তিশালী সুরক্ষা বাঁধ। এমন প্রক্রিয়ায় এবারই প্রথম কোন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে দেশে। তবে দ্রুত কাজ শেষ করে বোয়িং ৭৭৭ এবং বোয়িং ৭৪৭-এর মতো বড় বড় উড়োজাহাজ চলাচলের উপযোগী করতে চায় বলে জানালেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের পশ্চিম পাশে আরও একটি টার্মিনাল এবং রানওয়ে বানানোর পরিকল্পনার কথাও জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

এদিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের রূপ দেয়ায় খুশি স্থানীয়রা। কক্সবাজার হোটেল ওর্নাস এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি রাজা শাহ আলম চৌধুরী বলেন, কক্সবাজার আধুনিক পর্যটন শিল্প বিকাশে এই বিমান বন্দর রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে দৈনিক ৪০টি ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। নতুন রানওয়ের নির্মাণকাজ শেষ হলে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সাথে সংযোগ স্থাপিত হবে সহসায়।  দেশের ইতিহাসে সবচাইতে বড় ১০ হাজার ৭ শ ফুট দৈর্ঘ্যর রানওয়ে নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com