শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২ অপরাহ্ন

উচ্চশিক্ষায় অস্ট্রেলিয়া সরকারের বৃত্তি

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০২৪

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে পছন্দের অন্যতম দেশ অস্ট্রেলিয়া। পড়াশোনার মধ্যে কাজের সুযোগসহ নানা সুবিধার কারণে দেশটিতে বৃত্তি নিয়ে অনেকেই পড়তে যেতে চান। দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছে। যারা পড়তে অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চান, তাদের স্বপ্নপূরণে সহায়তা করতে নানা বৃত্তি আছে।

অনেক বড় দেশ হওয়া সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় আছে মোটে ৪৩টি। এ ছাড়া রয়েছে অনেক ইনস্টিটিউট, যেখান থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা যায়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়–সংক্রান্ত র‍্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোও জায়গা করে নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় লেখাপড়া পুরোটাই হয় অ্যাসাইনমেন্ট ও গবেষণার মাধ্যমে। সেখানে একজন শিক্ষার্থীর যত বেশি জানার আগ্রহ থাকবে, তিনি তত বেশি জানতে পারবেন ও শিখতে পারবেন। অস্ট্রেলিয়া সরকার মাইগ্রেশন অনেক বেশি সহজ করেছে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় জীবনযাপন ও চিকিৎসাব্যবস্থা অত্যন্ত মানসম্মত। পড়ালেখার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরির সুবিধাও আছে। স্নাতক শেষ করার পর অনেক সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করারও সুযোগ থাকে।

বিশ্বমানের শিক্ষা অর্জনে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের। সেই তালিকায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষাবৃত্তি যেমন রয়েছে, তেমনি আছে অস্ট্রেলিয়া সরকারের নিজস্ব শিক্ষাবৃত্তিও। অস্ট্রেলিয়া সরকারের তেমনি একটি স্কলারশিপ হচ্ছে ‘রিসার্চ ট্রেনিং প্রোগ্রাম (আরটিপি)’। প্রতিবছর স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বিভিন্ন ডিগ্রির জন্য এ স্কলারশিপ দেয়া হয়ে থাকে। সাধারণত মাস্টার্সের জন্য দুই বছর ও পিএইচডির জন্য সর্বোচ্চ চার বছরের এই স্কলারশিপ দেয়া হয়ে থাকে। দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন দেওয়া হয় এ বৃত্তি। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা এবং পিএইচডি স্নাতকোত্তরে আগ্রহী বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করা যাবে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ওশেনিয়ার প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাস ক্যাম্পারডাউন এবং ডার্লিংটন শহরতলিতে। ১৬টি অনুষদ এবং স্কুল নিয়ে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ আছে।

সুযোগ–সুবিধা

সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ, আবাসন ব্যবস্থাসহ, মাসিক হাতখরচ, গবেষণামূলক কাজের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ—সব মিলিয়ে বছরে ৪০ হাজার ১০৯ ডলার পাওয়া যায়।

আবেদনের যোগ্যতা কী কী
* আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হতে হবে;
* একাডেমিক ভালো ফল থাকতে হবে;
* গবেষণা পরিচালনার যোগ্যতা থাকতে হবে;
* বর্তমানে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণা বা পিএইচডি স্নাতকোত্তরের অফার লেটার থাকতে হবে;
* গবেষণায় অভিজ্ঞতা থাকতে হবে;
* ইংরেজি দক্ষতা সনদ প্রদর্শন করতে হবে। আইএলটিএসে ন্যূনতম স্কোর ৬.৫ পেতে হবে।

প্রয়োজনীয় নথিপত্র—
* আবেদনকারীর পাসপোর্ট ও ছবি;
* একাডেমিক কাগজপত্র;
* মোটিভেশন লেটার;
* রিসার্চ প্রপোজাল;

* রেফারেন্স লেটার;
* আবেদনকারীর সিভি;
* আইএলটিএস একাডেমিক স্কোর বা টোয়েফল স্কোর।

আবেদন প্রক্রিয়া: অনলাইনে আবেদন করতে হবে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের। আবেদনের পদ্ধতি ও আবেদনের জন্য বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://shorturl.at/XmeoG

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com