রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন

ঈদের পরের দিনে সুন্দরবনে পর্যটকের ঢল

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ভয়-শিহরণের স্থান সুন্দরবন। জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবনে আসা পর্যটকদের মন কাড়ে সবুজের সমরোহে। সেই সাথে নীল আকাশের কোলে সাদা মেঘের ভেলা ও দখিনা বাতাসে দেহ মন শীতল করে। তাইতো বরাবরের মতো ঈদের ছুটিতে এবারও পর্যটকরা পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে এসেছেন সুন্দরবনে।

ঈদের দিন সকালে তেমন লোকজন না আসলেও মূলত পরদিন রোববার (২৩ এপ্রিল) থেকেই সুন্দরবনের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঢল নামতে শুরু করে পর্যটকদের। এদিন বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ একাধিক বিভিন্ন কর্মকর্তারাও এসেছেন সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্রে। ঘুরে দেখেছেন সুন্দরবনের অপরুপ সৌন্দর্য।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, এদিন দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রায় ৬০০ পর্যটক এসেছেন করমজলে। তারা এখানে হরিণ, বানর, কুমিরসহ নানা প্রজাতির প্রাণী ও বনের বিভিন্ন স্থানে অবলোকন করেছেন। মুগ্ধ হয়েছেন বনের জীববৈচিত্র্য দেখে। সোমবারও পর্যটকদের আরও বেশি ঢল নামবে। এক্ষেত্রে অন্যান্য দিনের চেয়ে ঈদের ছুটিতে রাজস্ব আয় বেশি হবে।

এছাড়া পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে করমজলে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। উন্নত দেশগুলোর মতো আকর্ষণীয় করে সুন্দরবনের স্পটগুলোকে সাজানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ট্যুর অপারেটর ব্যবসায়ী মো. নান্টু জানান, তাদের বুকিং দেওয়া পর্যটকরা সুন্দরবন দেখতে আসবেন কাল। এজন্য তারা প্রস্তুত রয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ থেকে বন্ধুদের নিয়ে সুন্দরবনে প্রথমবার এসেছেন বেসরকারি একটি বিদ্যালয়ের ছাত্র ইয়াসির আরাফাত (২৯)। অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সুন্দরবন বাদ দিয়ে কেন আমরা বিদেশ যাই! এখানে এলেই যে কোনো মানুষের মন ভালো হবে। আমরা আবার সুযোগ পেলে, আবারও আসবো।’

পাবনা থেকে এসেছেন, জাহিদুর রহমান (৪৮)। পেশায় সরকারি চাকরিজীবি। দুই মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে ঈদের ছুটিতে সুন্দরবনে এসেছেন। গত ঈদেও তারা সুন্দরবনে এসেছেন। সুন্দরবনের অপরুপ সৌন্দর্য তাদের মন কেড়েছে তাই আবার ছুটে আসা বলে জানান তিনি।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, যে কোনো পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থান সুন্দরবন। বিশেষ ছুটিতে তারা এখানে ছুটে আসেন। ভ্রমণপিপাসুদের জন্য কচিখালী হচ্ছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। এরপর কটকা ও হিরোনপয়েন্ট। এ তিনটি পয়েন্টে মোংলা থেকে ট্রলারে করে পৌঁছাতে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা সময় লাগে।

মোংলা ট্যুরিষ্ট পুলিশ সুন্দরবন জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঈদের দিন পর্যটকরা না আসলেও রোববার সকাল থেকেই পর্যটকদের ঢল নামে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা মোংলার পিকনিক কর্ণার থেকে ছোট নৌ-যানে করে সুন্দরবনে আসছেন। তাদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আমরা সর্বদা তৎপর রয়েছি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com