ঈদুল আজহার ছুটিতে পর্যটকের পদচারণে মুখর এখন পর্যটন নগরী রাঙামাটি। ঈদের তৃতীয় দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা বেড়াতে এসেছেন নয়নাভিরাম দৃশ্যের এই জেলায়।
পর্যটন-সংশ্লিষ্টদের মতে, ঈদের প্রথম দুই দিন পর্যটক না এলেও তৃতীয় দিন থেকে পর্যটকের যে আনাগোনা শুরু হয়েছে। তা আরও বেশ কিছুদিন থাকবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের সিম্বল অব রাঙামাটি খ্যাত ঝুলন্ত সেতু, সুবলং ঝরনা, পলওয়েল পার্ক, আরণ্যকসহ রাঙামাটির পর্যটন স্পট ও কাপ্তাই হ্রদে পর্যটকের আনাগোনা শুরু হয়েছে, যা দুপুর গড়াতে পর্যটকের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে।
পাশাপাশি মেঘের রাজ্য সাজেকেও টানা দুই মাস পর আবারো পর্যটকের ভিড় শুরু হয়েছে। বর্ষার শুরুতে ঈদের ছুটি পেয়ে পর্যটকের এই ভিড়ে খুশি ট্যুরিস্ট বোটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মতে, যেসব পর্যটক এখানে আসছেন, তারা বেশির ভাগ আশপাশের জেলা থেকে আসছেন, যার কারণে তাদের বেশির ভাগ রাত যাপন করছেন না। তারা দিনে এসে ঘুরেফিরে উপভোগ করে আবার দিনেই চলে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম থেকে আসা পর্যটক মো. ইকবাল হোসেন জানান, রাঙামাটিতে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছি। আজ ঝুলন্ত সেতু, সুবলং ঝরনা, পলওয়েল পার্ক, আরণ্যক ঘুরে সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবো।
ট্যুরিস্ট বোট চালক রফিক জানান, বেশ কিছু দিন পর ঈদের তৃতীয় দিন থেকে রাঙামাটিতে আবার পর্যটক আশা শুরু হয়েছে। আমাদের বেশ কিছু বোট ভাড়া হয়েছে। বর্ষায় রাঙামাটি দেখতে পর্যটক আসার হার আরও বাড়বে আশা করছি।
সাজেক রিসোর্ট সমিতির সহসম্পাদক মো. ইব্রাহিম হোসেন জানান, ঈদের তৃতীয় দিন সাজেকের সব রিসোর্টের রুম বুকিং হয়েছে। ঈদের আগে অবস্থা খারাপ থাকলেও ঈদকে কেন্দ্র করে পুরো সপ্তাহের ভালো বুকিং আছে।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলো বিকাশ চাকমা জানান, পর্যটন করপোরেশনের ৬০ ভাগ রুম বুকিং রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আশা করছি পর্যটকের পদচারণ আরও বাড়বে।