ইতিমধ্যে কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক আবাসিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশির ভাগের রং লাগানো, ধুয়ে-মুছে পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ। এবারের ঈদের ছুটি পাঁচ দিন হলেও ঈদে টানা সাত দিন কক্সবাজারে পর্যটকরা ভ্রমণে আসবেন বলে আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
ইতিমধ্যে কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক আবাসিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশির ভাগের রং লাগানো, ধুয়ে-মুছে পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ। এবারের ঈদের ছুটি পাঁচ দিন হলেও ঈদে টানা সাত দিন কক্সবাজারে পর্যটকরা ভ্রমণে আসবেন বলে আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ‘ঈদের ছুটি পাঁচ দিন হলেও টানা সাত দিন কক্সবাজারে পর্যটক আসবেন। অনেক পর্যটক ইতিমধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছেন। এবার আবাহাওয়া ভালো থাকলে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ হাজার পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’
তিনি জানান, ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে ফেডারেশনভুক্ত আবাসিক হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসে ভাড়ায় ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে টানা সাত দিনের পর্যটন ব্যবসায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হতে পারে।
তারকামানের আবাসিক হোটেল সি গালের সহকারী ব্যবস্থাপক নুর মোহাম্মদ রাব্বী জানান, অন্যান্য আবাসিক প্রতিষ্ঠানের মতো ঈদে পর্যটক বরণের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছেন তারা। খুব বেশি পর্যটক না এলেও আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে আসবেন―এমনটাই আশা করা হচ্ছে। এ জন্য বিশেষ প্যাকেজও রয়েছে।
বৃহত্তর বিচ ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি আবদুর রহমান বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠবে কক্সবাজার। পর্যটক বরণে সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। পর্যটকদের সার্বিক সেবা দেবেন তারা।’
হোটেল দি কক্স টুডের ব্যবস্থাপক আবু তালেব জানান, অন্যান্য বছরের মতো এবারও ঈদকে সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। পর্যটকরা আসলেই স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন হোটেল দেখবে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম জানান, ঈদের ছুটির পর্যটকের পদভারে আবারও চিরচেনা রূপে ফিরবে সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটন এলাকা। এর জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। নিরাপত্তা জোরদার করে পর্যটকের সেবা দিতে প্রস্তুত তারাও।