যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম পরিচালক, ইমিগ্রেশন ও অ্যাক্সিডেন্ট কেস বিশেষজ্ঞ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে ইমিগ্রেশন বিষয়ে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। ওই বক্তব্যে তিনি জনস্বার্থে ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, যা অনেকের জন্য খুবই উপকারী।
অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্য শুনে অনেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। আবার ইমিগ্রেশন প্রত্যাশী অনেকে আতঙ্কিত বা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ট্রাম্প তার বক্তব্যে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার এবং ইমিগ্রেশন ইস্যুতে কথা বলেছেন। সারা বিশ্ব তার বক্তব্য শুনেছে। কারণ সারা বিশ্বের মানুষ আমেরিকায় বসবাস করছে।
তিনি ট্রাম্পের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ট্রাম্প সাউদার্ন বর্ডার বন্ধ করে দিতে চান। এতে করে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী আগমন বন্ধ হবে। তিনি ১৭৯৮ সালের এলিয়েন এনিমি অ্যাক্ট কার্যকর করবেন। যারা আমেরিকার বিরুদ্ধে যারা কাজ করবেন, তাদের এই অ্যাক্টে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে সিটিজেন রাইটস অ্যাক্ট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাস্প। এ ব্যাপারে অ্যাটর্নি মঈন বলেন, এটি অনেক আমেরিকানদের জন্য ভালো। অনেক ক্ষেত্রে বৈধ ইমিগ্র্যান্টদের অধিকার ক্ষুণ্ন হতে পারে। তবে ট্রাম্পের এ ব্যাপারে দেওয়া নির্বাহী আদেশ অনেক ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। এই আদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা হতে পারে। তবে এ বিষয়ে কংগ্রেসের অনুমোদন নেওয়া ট্রাম্পের জন্য সহজ হতে পারে। কারণ কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট রিপাবলিকানদের দখলে রয়েছে।
তিনি পরামর্শ দেন, যাদের কোনো মামলা পেন্ডিং আছে, তাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। যাদের ডিপোর্টেশন অর্ডার আছে তাদের জন্য শঙ্কিত হওয়ার কারণ আছে। যদি কেউ কোনো অপরাধ করে না থাকে, তাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই।
মঈন চৌধুরী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে কেউ অপরাধে জড়াবেন না। তিনি গ্রিনকার্ড পেলেও ছাড় পাবেন না। এমনকী কেউ অবৈধ উপায়ে বা ভুল তথ্য দিয়ে গ্রিন কার্ড পেলে তার গ্রিনকার্ড বাতিল হতে পারে। তিনি বলেন, বৈধপথে এ দেশে অনেক কিছু করা সম্ভব। অনেক সুযোগও আছে। এজন্য তিনি প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছেন বলে জানান মঈন চৌধুরী।