চালকদের সংগঠন ড্রাইভারস গিল্ড এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে তা চালকদের ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে সে নিয়ে সিটির পক্ষ থেকে গবেষণাভিত্তিক প্রতিবেদন দাবি করেছেন। একই সঙ্গে গ্রিন রাইডস টাস্ক ফোর্স গঠনেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
বুধবার বিকেলে নিউইয়র্ক মেয়র ঘোষণা করেন, ইলেক্ট্রিক ভেহিকেলের জন্য সিটির পক্ষ থেকে ট্যাক্সি ও লিমোজিন কমিশন লাইসেন্সিং চালু করা হবে। যা পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কার্যকর করা হয়। আর এই ঘোষণার পরপরই ঘোষণা আসে, ২০৩০ সালের মধ্যে নিউইয়র্কের সকল ট্যাক্সি ও লিমোজিনকে ইলেক্ট্রিক ভেহিকেলে পাল্টে ফেলতে হবে। যদিও এর আগে মেয়র ঘোষণা করেছিলেন, এ জন্য নগরের ৮০০০০ কর্মঠ উবার ও লিফট চালককে খরচ বহন করতে হবে না। কিন্তু টিএলসির ঘোষণায় চালকদের সুরক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা হয় নি।
ফলে রাইডশেয়ার চালকদের সবচেয়ে বড় জাতীয় অ্যাডভোকেসি সংগঠন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ড্রাইভারস গিল্ড এতে খুশি যে, সিটি ইলেক্ট্রিক ভেহিকেলের লাইসেন্সিং শুরু করছে। এ নিয়ে গিল্ডের পক্ষ থেকে দীর্ঘ সময় ধরে অ্যাডভোকেসি চলছিলো। আর গ্রিন রাইডস ট্রানজিশনকে সফলভাবে শেষ করতে গিল্ডের পক্ষে থেকে মেয়র অ্যাডামসের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে মেয়রকে শিগগিরই একটি আন্তঃসংস্থা গ্রিন রাইডস টাস্ক ফোর্স গঠনের দাবি জানানো হয়েছে, যাতে অবশ্যই চালকদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও একটি জরিপ শুরু করতে হবে যাতে এই সিদ্ধান্তের কতটা প্রভাব চালকদের উপর পড়ে তার একটা সম্যক ধারনা পাওয়া যায়। আর এর অবকাঠামোগত প্রয়োজনীয়তা ও তার সক্ষমতা কতটুকু রয়েছে সেটাও যাচাই করে দেখতে হবে।
এর আগে টিএলসি’র একটি শুনানিতে গিল্ডের পক্ষ থেকে এই ইলেক্ট্রিক ভেহিকল লাইসেন্সিং শুরু করার দাবি জানানো হয়। তবে একই সঙ্গে এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সিটির অবকাঠামোগত সক্ষমতা কতটুকু রয়েছে, এবং কখন কতটুকু অর্জন করা সম্ভব তার মাইলস্টোনগুলোও নির্ধারণ জরুরি।
৮০ হাজারের বেশি নিউইয়র্কার বর্তমানে তাদের পরিবারের ভরণপোষণ উপার্জন করে এই উবার কিংবা লিফট চালিয়ে। সিটির এই গ্রিন ভেহিকল ট্রানজিশনের সিদ্ধান্ত তাদের জীবন ও জীবিকার উপর গভীর প্রভাব ফেলবে। এ অবস্থায় চালকদের প্রতিনিধিত্বসহ আন্তঃসংস্থা টাস্ক ফোর্স গঠন জরুরি বলেই মনে করছে চালকদের এই সংগঠনটি।