জনবহুল জাকার্তা থেকে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বোর্নিও দ্বীপে। দেশটির নতুন এ রাজধানীর নামকরণ করা হয়েছে নুসানতারা। চলছে গুরুত্বপূর্ণ সব অবকাঠামো নির্মাণের কাজ। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো কাজ শুরু করেছেন নুসানতারায় তার নতুন কর্মস্থল থেকে।
ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বিপে চলছে বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণের কাজ। তোড়জোড় চলছে সম্পূর্ণ একটি শহরকে সরিয়ে আনার। প্রায় শেষ হওয়ার পথে প্রেসিডেন্ট প্যালেস থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের কাজ। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী স্থানান্তরের এই আয়োজন নাগরিকদের মধ্যে আগ্রহের পাশাপাশি তৈরি করেছে উদ্বেগের।
ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান রাজধানী জাকার্তায় প্রায় ১ কোটি লোকের বাস। যানজট, বায়ু দূষণ থেকে শুরু করে অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাট তলিয়ে যায় পানিতে। এরকম নানা সমস্যায় জর্জরিত ইন্দোনেশিয়ার প্রধান এই শহরটি। বিকেন্দ্রিকরণের উদ্দেশ্যে দেশটির রাজধানী সরানো হচ্ছে বোর্নিও দ্বীপের পূর্ব কালিমানতানে। নতুন এ রাজধানীর নামকরণ করা হয়েছে নুসানতারা।
রাজধানীর নির্মাণকাজ শেষ না হলেও দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো কাজ শুরু করেছেন তার নতুন কর্মস্থল থেকে। সব ধরনের সুবিধা না থাকলেও তিনি তার দায়িত্বের শেষ কয়েক মাস এখানেই কাটাতে চান।
এদিকে, সামনের মাসে ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে নতুন এই রাজধানী শহরে। এ আয়োজনকে সামনে রেখে নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য কর্তৃপক্ষ কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন আরও দ্রুততার সাথে। এ নিয়ে দেশটিতে চলছে সাজ সাজ রব।
জোকো উইদোদো বলেন, আমি আজ থেকেই এখানে সভার জন্য কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ করা শুরু করেছি। কিন্তু আমি আপনাদের নিয়ে যেতে পারব না কারণ এখনো অনেক কর্মীরা রয়েছেন। আমি তাদেরকে বিরক্ত করতে চাইনা। পরিষ্কার ও শেষ করার কাজ চলছে এবং সবকিছু খুব সুন্দর অবস্থায় আছে।
নুসানতারাকে নতুন রাজধানী করা হলেও জাকার্তা থাকবে দেশটির অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে। বর্তমান প্রেসিডেন্টের উদ্যোগেই ২০২২ সালে রাজধানী সরানোর বিষয়ে আইন পাস হয়।
তবে, দূরবর্তী এই দ্বীপটিতে রাজধানী সরানো হলে সেখানকার পরিবেশের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে। সমালোচকরা বলছেন সেখানকার জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন ও সংস্কৃতি হারিয়ে যাওয়ার আশংকাও করছেন অনেকে।
Like this:
Like Loading...