সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অপূর্ব দৃশ্য : ইনানী সৈকতে ভোরে সূর্যোদয়ের কিংবা গোধূলিতে সূর্যাস্তের দৃশ্য এক কথায় অসাধারণ।
অবসর কাটানোর নানা আয়োজন
ঘোড়ায় চড়া : ইনানী সৈকতে বালুকাময় তীরে ঘোড়ায় চড়ার সুযোগ রয়েছে।
ছাদখোলা ডাবল ডেকার বাসে ভ্রমণ : অ্যাকোয়াহলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভান নামে পরিচিত এই বাসগুলোর মাধ্যমে মেরিন ড্রাইভ ধরে ইনানী পর্যন্ত যাওয়া যায়। আরামদায়ক এই ভ্রমণে প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করা যায় পুরোপুরি।
নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত আকাশ পরিষ্কার থাকে এবং বাতাস থাকে শীতল ও মনোরম। জেট স্কিইং বা সমুদ্র স্নানের জন্য এই সময়টাই সবচেয়ে উপযুক্ত। এ ছাড়া ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে পর্যটকের ঢল থাকলেও মার্চের শুরুতে তুলনামূলক কম ভিড় থাকে, ফলে খরচও কিছুটা কমানো সম্ভব হয়।
থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা
ইনানীর আশপাশে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। বাজেট ভ্রমণকারীদের জন্য শহরের ভেতরে কম দামে রুম ভাড়া নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সাধারণ রুমের ভাড়া মাথাপিছু ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। যারা বিলাসবহুল থাকতে চান, তারা রান্নাঘরসহ ফ্ল্যাট ভাড়া নিতে পারেন, যা ২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
খাবারের ক্ষেত্রে ইনানী বিখ্যাত সামুদ্রিক খাবারের জন্য। নারকেল চিংড়ি এবং গ্রিল্ড পমফ্রেট এখানকার সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে অন্যতম।
ইনানী ভ্রমণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা
চেকপোস্ট পার হতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখা জরুরি। সাগরে সাঁতার কাটার সময় জোয়ার ভাটার বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে যত্রতত্র ময়লা না ফেলার জন্য সতর্ক থাকতে হবে।
শেষকথা
ইনানী সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য নিঃসন্দেহে অনন্য। প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটাতে এবং জীবনের চাপ থেকে মুক্তি পেতে এই সৈকত হতে পারে এক অসাধারণ ঠিকানা। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত একদিন কাটালেও মনে হবে স্বর্গীয় এক অভিজ্ঞতা। ইনানীর শীতের ভোর বা গোধূলি আপনার জীবনের স্মৃতির অ্যালবামে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।