আফ্রিকার শীর্ষ উড়োজাহাজ সংস্থা এবং স্টার অ্যালায়েন্সের সদস্য ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস আগামী ৩ নভেম্বর থেকে সরাসরি চালু করতে যাচ্ছে ঢাকা -আদ্দিস আবাবা রুট। এয়ারলাইনটি সাপ্তাহিক পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে, যা বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণকারীদের আফ্রিকা, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং এর বাইরেও সকল মূল শহরসহ বিশ্বব্যাপী ১৫৫ টিরও বেশি গন্তব্যে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে ।
উদ্বোধনী ফ্লাইট একটি অত্যাধুনিক বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯ দ্বারা পরিচালিত হবে, যা ৩ নভেম্বর সকাল ৮:৩০ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে এবং একই দিন সকাল ৯:৪০ মিনিটে আদ্দিস আবাবায় ফিরে যাবে।
এই রুটে নিয়মিত উড়োজাহাজগুলো রবিবার, মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে। এছাড়া অতিরিক্ত ফ্লাইট প্রতি সোমবার এবং শুক্রবার সকালে ঢাকা ছাড়বে।
বাংলাদেশে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের জেনারেল সেলস এজেন্ট রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন বলেন, এটি কেবল একটি ফ্লাইট চালু নয়, এর বাংলাদেশ ও বিশ্বকে আরও কাছাকাছি আনার একটি সুযোগ তৈরী হলো । তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক ভাড়া এবং একটি বিশাল বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের সাথে, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস বাংলাদেশী ভ্রমণকারীদের জন্য পছন্দের হতে চলেছে।
সোহাগ হোসেন জানান, নতুন এই রুটটি বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য সুবিধাজনক সংযোগ প্রদান করবে। আদ্দিস আবাবার মাধ্যমে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার প্রধান শহরগুলিতে সাশ্রয়ী ভাড়ায় পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে। তিনি বলেন। ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স, আফ্রিকার সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন নেটওয়ার্ক। এই রুটে অত্যাধুনিক বোয়িং৭৮৭ ড্রিমলাইনার দিয়ে সেবা পরিচালনা করবে এয়ারলাইন্সটি।
তিনি আরও বলেন, চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স প্রতিদিনের ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। ঢাকার নতুন রুটটি এয়ারলাইন্সের বৃহৎ নেটওয়ার্ককে সম্প্রসারিত করবে, যার মধ্যে আফ্রিকার ৬৩টিরও বেশি গন্তব্য এবং বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫৫টি গন্তব্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
উল্লেখ, যাত্রী, গন্তব্য এবং আয়ের দিক থেকে ১৪৭টি উড়োজাহাজ নিয়ে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স আফ্রিকার সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন্স । এটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম এয়ারলাইন্স হিসেবে স্বীকৃত, যার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দেশে ফ্লাইট পরিচালনা করে। দক্ষিণ এশিয়ায় ইতোমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা এই এয়ারলাইন্স বেঙ্গালুর, চেন্নাই, দিল্লি, মুম্বাই এবং করাচিতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে এবং ঢাকায় তাদের সম্প্রসারণ এশিয়ায় উপস্থিতি শক্তিশালী করার বৃহত্তর কৌশলের অংশ।