ইতালি, যেখানে পাস্তা খেতে খেতে পিএইচডি, পিৎজা খেতে খেতে মাস্টার্স! বাংলাদেশিদের জন্য ইতালিতে পড়াশোনা মানে শুধু বই-খাতা নয়, পাস্তা-পিৎজার সাথে শিক্ষার মিশ্রণ। এছাড়াও, চাইলে আপুরা ইতালীয় একজন বয়ফ্রেন্ড জুটিয়ে ভ্লগ করে জাকারবার্গ মামার কাছ থেকে হাজার হাজার ডলার ও কিন্তু হাতিয়ে নিতে পারবেন!
টিউশন ফি:
ইতালির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত €৮০০ থেকে €৪,০০০ এর মধ্যে থাকে।
জীবনযাত্রার খরচ:
মাসিক খরচ প্রায় €৬০০-৮০০
ব্যাংক স্টেটমেন্ট:
√ব্যাংক স্টেটমেন্টে কমপক্ষে €১০,০০০ থেকে €১৩,০০০ (প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা) প্রদর্শন করা উচিত। এই পরিমাণ আপনার কোর্সের মেয়াদ ও টিউশন ফি অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
√ব্যাংক স্টেটমেন্ট গত ৬ মাসের, ব্যাংকের স্ট্যাম্প ও স্বাক্ষরসহ
√স্পন্সর থাকলে: বাবা-মা বা অভিভাবকের স্টেটমেন্ট, আয় প্রমাণ, স্পন্সরশিপ লেটার প্রয়োজন
√ব্লক মানি প্রয়োজন নেই
বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ:
সাপিয়েনজা ইউনিভার্সিটি অব রোম
পলিটেকনিকো দি মিলানো
ইউনিভার্সিটি অব পাডোভা
ইউনিভার্সিটি অব বোলোনিয়া
ইউনিভার্সিটি অব ত্রেন্তো
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন ও ডেডলাইন:
আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে মে বা জুন পর্যন্ত চলে! উদাহরণস্বরূপ, সাপিয়েনজা ইউনিভার্সিটি অব রোমে নন-ইইউ ভিসা প্রার্থীদের জন্য প্রি-সিলেকশন ডেডলাইন ২৯ এপ্রিল ২০২৫।
স্কলারশিপ:
√DSU স্কলারশিপ
√ইতালিয়ান গভার্নমেন্ট স্কলারশিপ
√বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক স্কলারশিপ
স্টাডি গ্যাপ:
ব্যাচেলর প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছর এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৮ বছর পর্যন্ত স্টাডি গ্যাপ গ্রহণযোগ্য, যদি তা যথাযথভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
IELTS:
সাধারণত IELTS ৫.৫ থেকে ৬.০ প্রয়োজন, তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী শিক্ষার প্রমাণ দিলে IELTS ছাড়াও আবেদন গ্রহণ করে।
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া:
√ভিসা টাইপ: ডি-টাইপ ন্যাশনাল ভিসা।
√বাংলাদেশে ইতালির দূতাবাসে সরাসরি আবেদন করা যায়; পূর্বনির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্টের প্রয়োজন নেই।
স্পাউস ও বাচ্চা নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া:
সাধারণত, স্টুডেন্ট ভিসার সাথে স্পাউস ও শিশুদের একসাথে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
ইতালিতে পড়াশোনা শেষে স্থায়ীভাবে বসবাসের ধাপসমূহ:
পড়াশোনা → কাজ খোঁজার পারমিট (১ বছর) (১২ মাসের জন্য “Permesso di Soggiorno per Ricerca Lavoro”) → চাকরি পেয়ে কাজের পারমিট (চাকরি পেলে “Permesso di Soggiorno per Lavoro Subordinato” এ রূপান্তর)
→ ৫ বছর পর স্থায়ী রেসিডেন্স পারমিট → ১০ বছর পর নাগরিকত্ব।
PROS:
√কম টিউশন ফি ও জীবনযাত্রার খরচ।
√বিভিন্ন স্কলারশিপের সুযোগ।
√ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশে ভ্রমণের সুযোগ।
√আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা।
CONS:
√ইতালিয়ান ভাষার প্রয়োজনীয়তা (বিশেষ করে দৈনন্দিন জীবনে)।
√ভিসা প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হতে পারে।
√কিছু ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ সীমিত হতে পারে।
Like this:
Like Loading...