জার্মানীতে / ইউরোপে যারা স্টুডেন্ট ভিসায় আসছেন, ‘হতাশা’ বলে কোনো শব্দ যে আছে, সেটা ভুলে যান।ইদানিং সব গ্রুপ গুলোতে শুধু হতাশা ভরা পোস্ট। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন আপনি উন্নয়নশীল একটা দেশ থেকে উন্নত দেশে আসা একজন ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট। আপনি অবশ্যই আর দশজন সাধারণ বাংলাদেশীর চেয়ে আলাদা৷
আপনি শুধু বাংলাদেশী নন, আপনি সাহসী, আপনি একজন স্বীকৃত বৈশ্বিক মানুষ।
কিসের কী হতাশা, আপনার প্রচুর কাজ রয়েছে। তার জন্য প্রতিদিন একটু একটু করে নিজেকে গড়ুন। আপনি স্টুডেন্ট, অতএব, সবার আগে লেখাপড়া। জীবনে যাই ঘটে যাক, পড়ালেখা সুন্দরভাবে করতে থাকবেন। দেখবেন সবকিছু ভালো হবে।
যে জার্মান ব্যক্তিটি আপনাকে তার ভাষা না জানার কারনে অবজ্ঞা/ অবহেলা করলো, আপনি তাকে থোড়ায় কেয়ার করবেন। তাকে বাংলাদেশে ছেড়ে দিলে সে আপনার চেয়ে বাজে পরিস্থিতিতে পড়বে নিশ্চিত। আপনি অবশ্যই যেকোনো জার্মান ছাত্রের চেয়ে এগিয়ে, সে তার নিজের দেশে পড়ছে, আপনি নিজের দেশের চেয়েও ভালো দেশে পড়ছেন। নিজেকে কখনোই ডাউন ভাববেন না।
কোনো কাজই ছোটো না, অন্য দেশের মানুষদের সাথে কথা বলবেন, তাদের গল্প শুনবেন। দেখবেন, তারাও অড জব করেই লেখাপড়া করেছে/ করছে, এমন কি জার্মানরাও করে। অড জব বলে কিছু হয়না। আপনার এখানে থাকার জন্য টাকার প্রয়োজন, আপনি যেকোনো একটা কাজ করবেন, যেটা করলে পড়ালেখার ক্ষতি না হয়, ব্যস।
নিজের কাজকে ছোট করে দেখার জন্য বেশিরভাগ স্টুডেন্ট ডিপ্রেশনে পড়ে ,মনে করে বাংলাদেশে পানি ও ঢেলে খাই নি এখন বাসনমাজি,ফুড ডেলিভারি করি, মাল টানি।
কিছু অড জব সেই দেশের স্টুডেন্টরাও পড়াশোনা চলাকালীন অবস্থায় করে কিন্তু তারা আমাদের মতো চিন্তা করে না। কারণ তারা জানে এটা তাদের লাইফ লিড করার জন্য। পরবর্তীতে স্কিলফুল হয়ে ভালো জব করবে।
নিজেকে নিয়ে কাজ করুন। ‘আপনি’ই আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট। এই প্রজেক্টকে সফল করার জন্য সময় দিন, ভাবুন, যত্ন নিন, প্রজেক্টে নতুন নতুন ফিচার এড করুন (যেমন- ছোটো ছোটো হাতের কাজ শেখা, নানান ধরনের স্কীল শেখা, ভাষা শেখা)।
মনে রাখবেন, ‘আপনি’– আপনার প্রজেক্ট।
এক ক্লাসে পড়লেই যেমন সবার রেজাল্ট / পরবর্তীতে কাজের ধরন / মনমানসিকতা সমান হয় না, তেমনি ইউরোপে একই দেশে থাকলেও সবার সবকিছু মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা/ ইনকাম /জব/ সামাজিক অবস্থান সমান হবে না।
Like this:
Like Loading...