বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নিয়ে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। বিমান কর্তৃপক্ষ একটি ইউটিউব চ্যানেলের পরিচালক ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর জনৈক হাসনাত খানের বিরুদ্ধে এই জিডি করেছে।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল হক ও বিমান কর্তৃপক্ষ জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজিজুল হক জানান, বিমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে ১৭ মে বিমানের মিজানুর রহমান নামে এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে একটি জিডি করেছেন। অভিযোগটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ক্রাইম বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিবেদন এলে হাসনাত খান নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম আইনে মামলা করা হতে পারে।
জিডিতে বিমান কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, হাসনাত খান নামের ওই ব্যক্তি তাঁর ইউটিউব চ্যানেল থেকে মাসখানেক আগে ‘এ যেন সরাসরি ডাকাতি, পাপের বোঝা জনগণের উপর’ এবং এর দুই দিন আগে ‘পুরো বিমানবন্দরে রেড অ্যালার্ট, দ্রুত পদক্ষেপে স্পেশাল ফোর্স’ শিরোনামে দুটি ভিডিও কনটেন্ট পোস্ট করেন।
বিমানের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ দিয়েছি থানায়। থানা-পুলিশ এটির আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ধাপে ধাপে আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।’
জিডিতে অভিযোগ করা হয়, ভিডিওতে ওই ব্যক্তি বিমান সম্পর্কে যারপরনাই মিথ্যাচার করেছেন এবং আক্রমণাত্মক ভাষায় মনগড়া তথ্য দিয়ে বিমানের অপূরণীয় সম্মানহানি করেছেন। হজ ফ্লাইটের ভাড়াসংক্রান্ত বিষয়েও হাসনাত খান আংশিক তথ্য প্রকাশ করে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করেছেন। জেট ফুয়েলের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি ছাড়াও সৌদি সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃক আরোপিত নিয়মের কারণে হজ ফ্লাইটের ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এ বিষয়গুলো তিনি কৌশলে এড়িয়ে গেছেন এবং বিমানের ওপর আক্রমণাত্মক ও অবমাননাকর ভাষায় চড়াও হয়েছেন। এ ছাড়া বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টি তিনি ব্যাপক গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে বিমান সম্পর্কে মানুষকে ভুল বার্তা দিয়েছেন এবং অনাস্থা সৃষ্টির প্রয়াস চালিয়েছেন।