শুধু অক্টোবর মাসেই ফ্রন্টেক্স অনিয়মিত প্রবেশের ৪৯ হাজার ছয়শটি চেষ্টা নথিভুক্ত করেছে৷ গতবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবেশের এই হার ১৮ শতাংশ বেশি৷
মূলত মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা থেকে আসা এই আশ্রয়প্রত্যাশীরা কোন কোন পথে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন সেই তথ্যও জানিয়েছে ফ্রন্টেক্স৷
মরক্কো, সেনেগাল এবং পশ্চিম সাহার থেকে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানোর অনিয়মিত পথটি ‘‘ওয়েস্ট আফ্রিকা রুট’’ হিসেবে পরিচিত৷ এই পথে আগমনের সংখ্যা ২০০৯ সালের পর প্রতিবছর দ্বিগুণ হারে বাড়তে বাড়তে চলতি বছর ২৭ হাজার সাতশতে পৌঁছেছে৷
তবে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক আশ্রয়প্রার্থী লিবিয়া ও টিউনিশিয়া থেকে সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে সিসিলি এবং মাল্টায় আসছেন৷ চলতি বছর এই পথে এক লাখ ৪৩ হাজার ছয়শ অনিয়মিত প্রবেশের চেষ্টা নথিভুক্ত করেছে ফ্রন্টেক্স৷
তবে, অক্টোবর মাসে এই অনিয়মিত পথে আগমনের হার আগের মাসের তুলনায় অর্ধেক বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি৷
‘‘সমুদ্রপথে ভয়াবহ ঝুঁকি রয়ে গেছে৷ ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) হিসেবে চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে দুই হাজার ৪৬৮ জন নিখোঁজ হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন,’’ বলেছে ফ্রন্টেক্স৷
অনিয়মিত পথে ইউরোপে প্রবেশের পথ হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘‘ওয়েস্ট বালকান রুট’’৷ এই পথে চলতি বছর এখন অবধি ৯৭ হাজার তিনশ মানুষ ইইউতে প্রবেশ করেছেন৷