আমরা অনেকেই না জেনে এবং না বুঝে ইংল্যান্ডের ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তথ্যগত ভুল কিংবা সঠিকভাবে আবেদন না করার ফলে আমাদের ভিসা আবেদন প্রত্যাক্ষ্যাত হয়। তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক সঠিকভাবে আবেদনের নিয়মকানুন এবং ভিজিট ভিসা আবেদনের মূল শর্তগুলো কি কি?
ভিসার ক্যাটাগরিঃট্যুরিষ্ট, ওয়ার্ক, ব্যবসা, একাডেমিক ভিজিট, পড়াশুনা, চিকিৎসা, বিয়ে, পরিবারসহ ইত্যাদি।ভিসার ধরন অনুসারে যোগ্যতা ও ডকুমেন্টেশনও ভিন্ন হয়ে থাকে। ভিসা আবেদন অবশ্যই অনলাইনে করতে হবে।
ইংল্যান্ড এ্যাম্বাসির ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে।ভিসা নিতে আগ্রহীর প্রার্থির এ্যাম্বাসির নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। প্রথমে সাইটে গিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে। ফর্ম অবশ্যই ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে। নির্দিষ্ট ভিসা ফি জমা দিতে হবে। আপনার কার্ড দিয়েও ভিসা ফি জমা দিতে পারেন।
ফরম পূরণ করে তার ১টি প্রিন্ট কপি সংরক্ষন করতে হবে। সাক্ষাতকারের তারিখ নির্ধারন করতে হবে। প্রয়োজনীয় দলিলের মূল ও ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে। বাংলা হলে তা ইংরেজিতে করে রাখতে হবে।
আবেদনকারী নির্ধারিত সাক্ষাতকার তারিখে অবশ্যই স্ব-শরীরে ভিসা সেন্টারে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম হাজির হতে হবে।সাক্ষাতকারের দিন অবশ্যই সময়মত এ্যাম্বাসিতে পৌছাতে হবে। সেখান থেকে আপনাকে টোকেন সংগ্রহ করতে হবে। আপনার রশিদ আপনার ডকুমেন্ট/পাসপোর্ট সংগ্রহ করার সময় লাগবে।
আপনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র একবারই সাবমিট করতে পারবেন। পরে আর কোন সুযোগ পাবেন না তাই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন।
প্রার্থিকে ভিসা সেন্টারে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও সম্প্রতি তোলা ছবি জমা দিতে হবে। যা ব্যতিত আপনার ভিসার কার্যক্রম সম্পন্ন হবে না।
ভিজিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। পাসপোর্ট (অন্তত ছয় মাস মেয়াদ থাকতে হবে)
২। পাসপোর্ট ফটোকপি – ১ সেট
৩। ছবি – ২কপি (৩৫ এমএম – ৪৫ এমএম) সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড
৪। চাকুরীজীবি হলে ছুটি এবং নো অবজেকশন সার্টিফিকেট, অফিস আইডি কার্ডের ফটোকপি।
৫। ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স (ইংলিশ ট্রান্সলেট এবং নোটারাইজড)
৬। প্রতিষ্ঠানের প্যাড ও ভিজিটিং কার্ড
৭। ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
৮। টি,আই,এন সার্টিফিকেট
৯। স্পাউসের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
১০। বাচ্চাদের স্কুল আইডি/জন্ম সনদ পত্র
১১। সম্পত্তির বিবরণ
১২। বিয়ের সার্টিফিকেট (ইংরেজিতে প্রযোজ্য)
১৩। বøু বুকের ফটোকপি (যদি গাড়ী থাকে)
১৪। এফ ডি আর বা সঞ্চয় পত্রের প্রমান পত্র।
মনে রাখবেন ভিসা পাওয়া সম্পূর্ণ আপনার কাগজপত্র এবং ইন্টারভিউ এর উপর নির্ভর করবে। কোন কারনে ভিসা না হলে কাউকে দোষারূপ করা যাবে না।ভিসা প্রসেসিং ফি সম্পূর্ণ অফেরতযোগ্য।
ভিসা আবেদন করতে হবে নিচের ঠিকানায়ঃ
ভি এস এফ
সায়মন বিল্ডিং গুলশান-১, ঢাকা
জমার সময়: সকাল ৮:৩০ থেকে ১২:০০ এবং দুপুর ২:০০ থেকে ৩:০০ পর্যন্ত
রোববার থেকে বুধবার
বৃহ: ৮:৩০ থেকে ১:৩০ পর্যন্ত
শুক্র ও শনিবার বন্ধ।
ইন্টারভিউঃকাগজপত্র ঠিক থাকলে এবং আপনি ভিসা পাওয়ার যোগ্য হলে ইন্টারভিউর প্রয়োজন পড়ে না।এপ্লিকেশন জমা দেওয়ার পর সাধারনত ১০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগে। কোন কোন ক্ষেত্রে এর চেয়েও বেশি সময় লাগে।
ভিসা প্রসেসিং করতে খরচ হবে অফেরতযোগ্য
১। ভিসা ভিসা ফি (ছয় মাসের জন্য) ৮০৬০/- (ভি এস এফ কে দিতে হবে)
২। সার্ভিস চার্জ ৫০০০/- (এজেন্টকে দিতে হবে)
৩। অরিজিনাল হোটেল বুকিং ৫০০০/- (এজেন্টকে দিতে হবে)
মোট= ১৮,০৬০/-
২ জন হলে হোটেল বুকিং এর জন্য শুধুমাত্র ১০০০/- টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে।কোন কারনে আবেদন প্রত্যাক্ষত হলে আপনি চাইলে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।