চলতি অর্থবছরের শেষভাগে এপ্রিল-মে নাগাদ জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতিযুক্ত নতুন নোট বাজারে আসবে। এরই মধ্যে সব নোটের ডিজাইন ঠিক করে কালি ও কাগজ কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সাধারণভাবে সব প্রক্রিয়া শেষ করে নতুন নোট বাজারে আসতে ১৮ মাস সময় লাগে।
এ তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাদ দিয়ে দ্রুততম সময়ে নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বর্তমান সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান: একটি নোটের ডিজাইন ঠিক করার পর প্রিন্টিংয়ের জন্য প্লেট তৈরি হয়। নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজ, কালি আমদানি করা হয়। এ ক্ষেত্রে কাগজে জলছাপের ছবি কী হবে তা ঠিক করে দিতে হয়। সেই অনুযায়ী কাগজ প্রস্তুত করে পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে দেওয়া হয়। সব ঠিক থাকলে চূড়ান্ত থাকা বিষয়টি জানালে চাহিদামতো ছাপানো শুরু করে।
বর্তমানে ইউরোপের কয়েকটি দেশ এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে বেশির ভাগ কাগজ আসে। কাগজ, কালি পাওয়ার পর পুরো প্লেট ধরে নোট ছাপা হয়। বিশেষ প্রক্রিয়ায় তা শুকানো হয়। এর পর কাটিং করে প্রতিটি নোট পরীক্ষা করে বাজারে দেওয়া হয়। এভাবে একটি নোট ছাপানো শুরুর দিন থেকে বাজারে আসতে অন্তত ২৭-২৮ দিন লাগে।
এদিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বাজারে নতুন নোট ছাড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গ্রাহকরা নিতে পারবেন ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নোট। তবে, নতুন এসব টাকাতেও থাকছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন: যে সকল ব্রাঞ্চে এই টাকাটা ছাড়া হবে সেখানে নির্দেশ দেওয়া আছে যে তারা জনগণের স্বার্থে দৃশ্যমান হয় এমন দৃশ্যমান জায়গায় ছাপিয়ে দেবে নোটিশ আকারে যে কোনো গ্রাহক, কোন নোট কতটি পাবে। অর্থাৎ এখানে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির বিভেদের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও জানান: ছাপানো নোটগুলো বাতিল করলে বিপুল অংকের অর্থের অপচয় হবে। অপচয়ের বিষয়টা মাথায় রেখে পূর্ববর্তী যে ডিজাইন বা বর্তমানে যে বিদ্যমান ডিজাইন আছে সে ডিজাইনেরই ৫ টাকা, ২০ টাকা এবং ৫০ টাকার নোট মোট ৮০টি ব্রাঞ্চের মাধ্যমে বাজারে প্রচলন করব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী বলছে: গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বাজারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইস্যুকৃত নোট ছিল ৩ লাখ ১ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকার।