আর্থিক স্বচ্ছতার আন্তর্জাতিক ন্যূনতম মানদণ্ডে কোনো অগ্রগতি নেই বাংলাদেশের। বাজেটের আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রকাশিত মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়।
২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর আর্থিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এতে যেসব দেশ মার্কিন আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করে সে দেশগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ১৪১টি দেশের আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটি। সেখানে যে দেশগুলো ন্যূনতম মানদণ্ড রাখতে পারেনি তাদের বিষয়ে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে যে দেশগুলো মানদণ্ডে পৌঁছাতে অগ্রগতি করেছে, তাদের বিষয়েও বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৪০ দেশের সরকারের মধ্যে ৭২টি আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম শর্ত পূরণ করেছে। আর বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, আলবেনিয়াসহ মোট ৬৯টি দেশ ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি। তবে এসব শর্ত পূরণে ২৫টি দেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নিয়ে বলা হয়, আর্থিক স্বচ্ছতার দিক থেকে ন্যূনতম মানদণ্ড রাখার বিষয়ে কোনো চেষ্টাই করেনি সরকার। তবে আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এ বছরই প্রথম বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী আর্থিক স্বচ্ছতার দিক থেকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। সরকার এ সময়ে নির্বাহী বাজেট প্রস্তাব এবং বিস্তৃত বাজেট প্রণয়ন করেছে। এ ছাড়া জনগণের কাছে যাতে সহজে বাজেট পৌঁছে দেয়া যায়, সেই ব্যবস্থাও করেছে।
বাংলাদেশ কীভাবে আর্থিক স্বচ্ছতা আনতে পারে, প্রতিবেদনে তার চারটি সুপারিশও করা হয়। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতি অনুযায়ী বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। সর্বোচ্চ নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষকে স্বাধীনতা ও পর্যাপ্ত জনবলসহ প্রয়োজনীয় সম্পদ দিতে হবে, আর এটি নিশ্চিত করতে হবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী। নিরীক্ষা প্রতিবেদন সময়মতো প্রকাশ করতে হবে। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে হবে এবং এতে নিরীক্ষার সুপারিশ ও বর্ণনা থাকতে হবে।