বয়স আপনার ৬৫ ওল্ডার না, কিন্তু আপনার ফিজিক্যাল কন্ডিশন অথবা মেন্টাল কন্ডিশন আছে। এটা হচ্ছে আপনার মেমোরি লস হতে পারে, ডাইমেনশিয়া হতে পারে, আলঝেইমার হতে পারে অথবা অ্যানি আদার রেকগনাইজড ডিজিজ, যেটা ডাক্তার আপনাকে তাদের রিপোর্টে লিখে দিবে, এটার ওয়েভার পেতে পারেন।’ পরীক্ষা ছাড়াই অ্যামেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মধ্যে। এটি কারা পাবেন ও কীভাবে পাবেন, সে বিষয়ে টিবিএন অ্যানালাইসিসের সঞ্চালক রানা আহমেদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অ্যাটর্নি ইশরাত সামী।
টিবিএন: ইশরাত সামী আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ যে, সারা দিনের কর্মব্যস্ততা উপেক্ষা করে স্টুডিওর সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছেন এবং আজকে যে বিষয়টি, অর্থাৎ আমরা এই স্বপ্নের আমেরিকায় আসি। একরাশ স্বপ্ন নিয়ে চোখভরা বুকভরা আশা নিয়ে এখানে আসি এবং আসার পরে একটা নির্দিষ্ট কাল অতিক্রম করার পরে আমরা এ দেশের নাগরিকত্ব লাভ করার সুযোগ পেয়ে থাকি, কিন্তু এই নাগরিকত্ব লাভের ক্ষেত্রে অনেকেরই হয়তো বয়স বিবেচনায় হতে পারে। শারীরিক কন্ডিশনের ক্ষেত্রে হতে পারে বা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। আমরা বা ভাষাগত সমস্যার কারণে অনেক সময় হতে পারে। আমরা এই নাগরিকত্ব পরীক্ষা আমরা অনেকেই দিই না বা দিতে চাই না বা ভয় পাই ইত্যাদি কারণে।
তো আজকে আপনার কাছে একটু জানতে চাইব যে, এই পরীক্ষা ছাড়াই কীভাবে নাগরিকত্ব লাভ করা যেতে পারে। এটা কারা পাবেন, কীভাবে পাবেন? কী শর্ত আছে?
সব অর্থাৎ নাগরিকত্ব পরীক্ষায় তো অনেকগুলো সেগমেন্ট থাকে। লিখিত থাকে, মৌখিক থাকে, ভূগোল থাকে, ইতিহাস থাকে, নানান কিছু থাকে। সবগুলোই কি দিতে হবে নাকি কোনো কোনোগুলো ছাড় পাওয়া যেতে পারে, নাকি সবগুলোই ছাড় পাওয়া যেতে পারে? এই বিষয়গুলো আপনার কাছে বিস্তারিতভাবে জানতে চাই।
ইশরাত সামী: ধন্যবাদ ভাই। প্রাসঙ্গিক একটা প্রশ্ন করেছেন এবং আমরা ইদানীংকালে রিসেন্টলি দেখছি যে, ওয়েভার (ছাড়) অনেক বেশি গ্র্যান্ট করছে; সিটিজেনশিপ এক্সাম ওয়েভার যেটা। আমরা যদি বয়সপ্রাপ্ত হয়ে থাকে সিনিয়র সিটিজেন যারা, যেমন ৬৫ হলে এবং উনাদের কোন আন্ডারলাইন হেলথ কন্ডিশন, মেন্টাল হতে পারে, ফিজিক্যাল হতে পারে…এটা যদি আমরা প্রমাণ করতে পারি উইথ দ্য ডক্টরস রিপোর্ট, তখন এটা তারা ওয়েভ করে। এটা হচ্ছে একটা।
আরেকটা হচ্ছে বয়স আপনার ৬৫ ওল্ডার না, কিন্তু আপনার ফিজিক্যাল কন্ডিশন অথবা মেন্টাল কন্ডিশন আছে। এটা হচ্ছে আপনার মেমোরি লস হতে পারে, ডাইমেনশিয়া হতে পারে, আলঝেইমার হতে পারে অথবা অ্যানি আদার রেকগনাইজড ডিজিজ, যেটা ডাক্তার আপনাকে তাদের রিপোর্টে লিখে দিবে, এটার ওয়েভার পেতে পারেন। এটাতে বয়স ম্যাটার করে না, কিন্তু ইউএসসিআইএস ইউজুয়ালি কম বয়স হলে আপনাকে হার্ড টাইম দেয়।
টিবিএন: কম বয়সের কি কোনো সীমারেখা আছে যে ২০ বা বিশের নিচে এই ধরনের?
ইশরাত সামী: অ্যানিবডি ক্যান ডু ইট (যে কেউই এটা করতে পারে)। অ্যানিবডি হু ক্যান প্রুভ দ্যাট দে হ্যাভ আ হেলথ কন্ডিশন, মেন্টাল হেলফ কন্ডিশন, তখন হলো যে, ওয়েভারের জন্য আমরা অ্যাপ্লাই করতে পারি। আর যদি বয়স আপনার সিক্সটি বা ফিফটি ফাইভ অ্যাবাভ হয়, তাহলে আমাদের জন্য এটা একটু ইজিয়ার হয়। অলসো উইথ মেডিক্যাল ডকুমেন্ট, হুইচ ইজ এন৬৪৮ বলে, যেটা আপনি সাইকিয়াট্রিস্ট, ডক্টর, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট দ্বারা ফিলআপ করে এটা সাবমিট করতে পারেন। টুগেদার উইথ এন ৪০০, যে আপনি টেস্টে ওয়েভার চাচ্ছেন।
টু-থ্রি ইয়ারস ধরে আপনাকে এই রিপোর্টটা যখন আপনি অপ্লিকেশন সাবমিট করবেন তখনই এটা করতে হয়। পরে এটা সাবমিট করলে হয় না। সো এটাতে দুইটা আপনাকে চান্স দেওয়া হয়।
প্রথমে আপনাকে দেখবে। যদি ইউএসইআইএস অফিসার এটাতে স্যাটিসফাইড না হয়, তাহলে আপনি রিকোয়েস্ট করতে পারেন কেন তারা স্যাটিসফাইড না আপনাকে একটা এন-১৪ নামের একটা ফর্মে লিখে দিতে কী কী বিষয়ে তারা স্যাটিসফাইড না এবং যেটা আপনি সেকেন্ড ইন্টারভিউতে আপনি আপনার মেডিক্যাল ডকুমেন্টটা কারেক্ট করে নিয়ে যেতে পারেন। এটা হচ্ছে যে যারা কমপ্লিট ওয়েভার চান।
তারপর আরেকটা আছে আপনি যদি এ দেশে ২০ বছর থেকে থাকেন এবং আপনার বয়স পঞ্চাশের ঊর্ধ্বে হয়, তখন আপনি আপনার ল্যাঙ্গুয়েজে পরীক্ষা দিতে পারবেন। সেটাতে মৌখিক আপনাকে প্রশ্ন করা হবে এবং যদি আপনি উত্তর দিতে পারেন তাহলে আপনার লেখা আর আপনার রিডিং এবং আন্ডারস্ট্যান্ডিং এটা আপনাকে ওয়েভ করে দেওয়া হয়।
আরও একটা ক্যাটাগরি আছে, যেটা হচ্ছে আপনার বয়স যদি ৫৫ হয় এবং আপনি এ দেশে ১৫ ইয়ার্স থাকেন তখনও আপনি এটার ওয়েভার পেতে পারেন সিটিজেনশিপ এক্সামের জন্য। এটাই হচ্ছে মোটামুটি।