ট্রাম্পের এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি অভিবাসন নীতিতে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা সিলিকন ভ্যালি এবং অন্যান্য প্রযুক্তি হাবগুলোতে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেতে পারে। তার মতে, এই পদক্ষেপ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে সহায়ক হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখবে। যদিও ট্রাম্প এবং তার মিত্ররা প্রায়শই বলেন যে তারা অবৈধভাবে প্রবেশকারী এবং আইনগতভাবে প্রবেশকারীদের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন ।
তবে তার প্রশাসনের সময়, ট্রাম্প পারিবারিক-ভিসা এবং ভিসা লটারি প্রোগ্রামের মতো আইনি অভিবাসন রোধেরও প্রস্তাব করেছিলেন। ২০১৭ সালে দায়িত্ব নেওয়ার ঠিক পরে, তিনি “আমেরিকানদের কাজে রাখুন ” এই আদেশ জারি করেন, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের নির্দেশ দেন যাতে আমেরিকান কর্মীদের সুরক্ষার জন্য ব্যবসায়িক ভিসা শুধুমাত্র সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত বা সর্বাধিক দক্ষ বিদেশি আবেদনকারীদের দেওয়া হয়।
সেখান থেকে হঠাৎ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট পদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ট্রাম্প বলেছেন, “আমি যেটা করতে চাই- সেটা এরকম হবে। কেউ যদি আমেরিকার কলেজ থেকে ডিগ্রি লাভ করে তাহলেই গ্রিন কার্ড দেওয়া হবে ওই পড়ুয়াকে। সেই গ্রিন কার্ড ব্যবহার করে আমেরিকায় থাকতে পারবেন বিদেশি পড়ুয়ারা। এমন অনেক ঘটনা শুনেছি যে বিদেশ থেকে আমেরিকায় পড়তে আসা পড়ুয়ারা এখানে থেকে যেতে চেয়েছেন। মার্কিন সংস্থাগুলোয় কাজ করে সেখানকার উন্নতি করতে চেয়েছেন, কিন্তু পারেননি। বিশেষত ভারত এবং চীনের পড়ুয়ারা। ‘ ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা কার্যকর হলে প্রচুর মেধাবী বিদেশি ছাত্রছাত্রী যুক্তরাষ্ট্রে থাকার এবং তাদের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন।
সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস