গত এক বছরে বিদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান নাটকীয়ভাবে কমেছে। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা (আমেরিকান) কর্মীদের চাকরি বেড়েছে। মার্কিন শ্রম মন্ত্রণালয়ের গত আগস্ট মাসের চাকরি সংক্রান্ত রিপোর্ট এমন তথ্যই দিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী পরিসংখ্যান বলছে- বিদেশি কর্মীর (লিগ্যাল-ইলিগ্যাল আলাদা না করে হিসাব) কর্মসংস্থান গত বছরের আগস্ট থেকে এক বছরে ৮ লাখ ২২ হাজার কমেছে। অন্যদিকে আমেরিকান কর্মীর একই সময়ে চাকরি ২৭ লাখ ৬০ হাজার বেড়েছে।
বিদেশিদের বেকারত্ব হার বেড়ে হয়েছে ৪.৪। এক বছর আগে যা ছিল ৪.৩।
বিপরীতে মার্কিনীদের বেকারত্ব ৪.৬%। এক বছর আগে যা ছিল ৪.৪%। অর্থাৎ চাকরির সংখ্যায় বড় পার্থক্য হলেও বেকারত্বের হারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই।
এর সম্ভাব্য কারণ- ১. সীমান্ত ও অভিবাসন নীতি: ড্যানিয়েল দি মার্টিনো (ম্যানহাটন ইনস্টিটিউট): সীমান্ত কার্যত বন্ধ থাকায় শ্রমবাজারে নতুন অভিবাসীর প্রবেশ কমেছে।
ফলে অভিবাসী-নির্ভর খাতগুলোতে (কনস্ট্রাকশন, ডেলিভারি, রেস্তোরাঁ) শ্রম সরবরাহ সংকুচিত হচ্ছে।
২. অর্থনৈতিক মন্দাভাব- শুল্ক ও বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার কারণে অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ থমকে আসছে। কাজেই নতুন চাকরি তৈরি ধীরগতিতে হচ্ছে।
৩. জনসংখ্যাগত প্রভাব- দেশি শ্রমশক্তি বয়স্ক হচ্ছে- তাদের সংখ্যা কমছে, কিন্তু বর্তমানে জরিপে অভিবাসীর অনুপস্থিতি দেশজ কর্মসংস্থান কৃত্রিমভাবে বেশি দেখাতে পারে।