সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর্যটন শিল্পের মধ্যে অন্যতম শিল্প হচ্ছে ডেসার্ট সাফারি। যে খাত থেকে দেশটির সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করে। সারাবিশ্বের পর্যটকরা আরবি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে ডেসার্ট সাফারি করতে আসে দুবাইতে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন এ শিল্পটি মুখ থুবড়ে পড়লেও বর্তমানে আবারো চাঙা হতে শুরু করেছে।
দুবাইয়ের পর্যটন শিল্পের অন্যতম আকর্ষণ ডেসার্ট সাফারি। এ বিষয়ে ধারণা নেই বিশ্বে এমন পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। রোমাঞ্চপ্রিয় বা সাহসী পর্যটকদের জন্য এই সাফারি অত্যন্ত আকর্ষণীয়। দুবাইয়ের মরুভূমিতে ডেসার্ট সাফারি করতে প্রতি বছর কয়েক কোটি পর্যটকের ভিড় জমে। আরবি সংস্কৃতিসমৃদ্ধ মরুভূমির বুকে ডেসার্ট সাফারি মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিকে ব্যাপক সমৃদ্ধি এনে দিয়েছে।
ভ্রমণে আসা এক নারী জানান, আমি এখানে ঘুরতে এসেছি। জায়গাটা খুবই সুন্দর। অনেক লোক এখানে এসেছে।
প্রবাসী বাংলাদেশি জানান, ডেসার্ট সাফারি পার্কে বেইলি ড্যান্স, তান্দুরা, ফায়ার থ্রুো হয়। সব ধরনের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
সাফারির অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে মরুর বুকে বিশেষভাবে তৈরি ল্যান্ড ক্রুজারের মাধ্যমে বিপদজনক উঁচু-নিচু বালির পাহাড় বেয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছুটে চলা। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিনিট পথ পাড়ি দিয়ে পর্যটকরা নির্ধারিত ক্যাম্পে গিয়ে হাজির হয়। সেখানে আরবি ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা, বালির পাহাড়ে বাইক চালানো, মরুর রাজা উঠের পিঠে ভ্রমণ, বাজ পাখির সঙ্গে ছবি তুলতে তুলতে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় কাটান পর্যটকরা। সন্ধ্যার পর সিসা ও চা কফির সঙ্গে উপভোগ করা হয় বেলি ডান্স। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ডেসার্ট সাফারির মূল ইভেন্ট চলে।
এ শিল্পকে ঘিরে পর্যটকরা যেমন আনন্দ পেয়ে থাকে। তেমনি অসংখ্য মানুষেরও কর্মসংস্থান রয়েছে। কাজ করেন প্রচুর বাংলাদেশিও। করোনা সংক্রমণ না থাকলে প্রতি বছরের মতো ২০২১ সালেও এ পর্যটন শিল্পটিকে ঘিরে কয়েকশ’ কোটি ডলারের বাণিজ্য হতো বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।