বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন

আমিরাতের হোপ মিশনের সাফল্যের পেছনের কাহিনি

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
২০২০ সালের ২০ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঐতিহাসিক মহাকাশযান ‘হোপ মিশন’ জাপান থেকে উৎক্ষপণের পর এখন মঙ্গল গ্রহের পথে রয়েছে। এই প্রকল্প যখন গ্রহণ করা হয় তখন ইউএই সরকার প্রকল্পের টিমকে বলেছিল যে তারা কোনো একটি বিদেশি কম্পানি থেকে এই স্পেসক্রাফট বা মহাকাশযান কিনতে পারবে না। তাদের নিজেদেরই এটি তৈরি করতে হবে। এ কারণে প্রজেক্ট টিমকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পার্টনারশিপে যেতে হয়েছিল প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য।

তিনি ‘হোপ মিশনের’ বৈজ্ঞানিক দলের প্রধান।সম্প্রতি হোপ মিশনের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের এই মিশনের সাফল্যের পেছনে রয়েছে অ্যান্টার্কটিকায় উল্কাপাতের বৈশ্বিক ঘটনাগুলো। তারা জানান, পৃথিবীতে যত উল্কাপাত হয়, তার ৬০ শতাংশই পতিত হয় অ্যান্টার্কটিকায়। আমিরাতের খলিফা ইউনিভার্সিটির আর্থ সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আয়িশা আল সুবাইদি বলেন, ‘আমরা জানতাম মঙ্গলের পরিবেশের সঙ্গে অ্যান্টার্কটিকার পরিবেশের বেশ খানিকটা মিল থাকবে।

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত অ্যান্টার্কটিকায় ৮০ হাজারের বেশি উল্কাখণ্ড পাওয়া গেছে। এই জায়গা ঠাণ্ডা এবং মঙ্গলেও বেশ ঠাণ্ডা। আমরা অ্যান্টার্কটিকার ভৌগোলিক পরিবেশে উল্কাপাতের প্রভাব সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি।

আমরা যা জানতে পেরেছি, তা আমাদের হোপ মিশনকে সফলতা দান করবে বলে আশা করছি। অ্যান্টার্কটিকায় এত বেশি উল্কাপাতের কারণ জানার পরই আমরা মঙ্গলের বুকে অ্যান্টার্কটিকার মতো একটি জায়গা খুঁজে নিয়েছি, যা মঙ্গলের ভবিষ্যৎ পরিবেশ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান আহরণে আমাদের সহায়তা দেবে।’ 
সূত্র : খালিজ টাইমস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com