১ হাজার ৫০০ মিটার লম্বা ও ৬০০ মিটার চওড়া হ্রদটির টলটলে জল পর্যন্ত পৌঁছনো নেহাত সহজ কাজ নয়। দুর্গম এলাকায় অবস্থিত হ্রদটিতে পৌঁছতে ১৮ ঘণ্টার কঠিন ট্রেক করতে হবে।
হ্রদটির কাছে যাওয়ার আদর্শ সময় জুলাই মাস থেকে নভেম্বরের মধ্যে। বাকি সময় ওই পর্যন্ত পৌঁছনো কঠিন। পুরোটাই বরফে ঢেকে যায়।
নতুন আবিষ্কৃত হ্রদটির নাম কাজিন সারা হ্রদ। যার চারধার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঠাসা। চারধারে পাহাড়ের সারি। এর উত্তরে রয়েছে তিব্বত।
তিব্বতের পারি পর্বত ঝলমল করছে হ্রদের উত্তরে। পূর্বে রয়েছে মানাসলু পর্বত। পশ্চিমে দামোদর পর্বত মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে। আর দক্ষিণের দিকে তাকালেই সামনে দাঁড়িয়ে অন্নপূর্ণা ও লামজুং পর্বত।
এখনও মাপজোক কিছু বাকি। তাই কাজিন সারা হ্রদ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের উচ্চতম হ্রদের তকমা পায়নি। তবে তা এখন কিছু সময়ের অপেক্ষামাত্র। কারণ তিলিচো হ্রদের উচ্চতা ৪ হাজার ৯১৯ মিটার। বর্তমানে এটাই বিশ্বের উচ্চতম হ্রদ।
ফলে উচ্চতায় ৫ হাজার মিটার পার করতে পারলেই তা হয়ে যাবে উচ্চতম। আর কাজিন সারা হ্রদের উচ্চতা ৫ হাজার ২০০ মিটার। ফলে তার উচ্চতম তকমা পাওয়া পাকা।
নেপাল সরকার মনে করছে নতুন আবিষ্কার হওয়া কাজিন সারা হ্রদ একটি দারুণ আকর্ষণীয় পর্যটনক্ষেত্র হতে পারে। তবে তার জন্য গোটা বিশ্বের সাহায্য লাগবে এর কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা