শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন

আবার ছুটবে ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন! মৈত্রী, বন্ধন এক্সপ্রেস নিয়ে সামনে এল বড় আপডেট

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪

বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং ভারতের সম্পর্ক মজবুত করার জন্য দুই দেশের সরকার একসময় বিভিন্ন রকমের চুক্তি স্বাক্ষর করতে দেখা যায়। বিশেষ করে দুই দেশের রেলপথকে পাকাপোক্ত করতে চালু করা হয়েছে একের পর এক এক্সপ্রেস ট্রেন। বলা যায় এই ট্রেন চালু হওয়ার পর দেশের মধ্যে অবাধ যাতায়াত বাড়ে। বিশেষ করে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে অনেক রোগী ভারতে চিকিৎসার জন্য দ্বারস্থ হন। তবে ভারত-বাংলাদেশে (Bangladesh) যাতায়াতের জন্য যে ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়, তা বর্তমানে বন্ধ। এরই মাঝে বার বার প্রশ্ন উঠছে কবে চালু হবে এই ট্রেন?

কেন বন্ধ হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ (Bangladesh) এক্সপ্রেসগুলি?

এর আগেও ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বহুবছর ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। আবারো সেই সমস্যার মুখে যাত্রীরা। গত জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলনের পর থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস। জানা যায়, যেদিন বাংলাদেশে আন্দোলন শুরু হয় সেদিন ঢাকা যাওয়ার পর আটকে গিয়েছিল মৈত্রী এক্সপ্রেস।

উল্টোদিকে খুলনা-কলকাতাগামী বন্ধন এক্সপ্রেস এবং নিউ জলপাইগুড়ি-ঢাকাগামী মিতালী এক্সপ্রেস চলাচলও বন্ধ হয়ে যায় এই আন্দোলনের কারণে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে প্রায় দু মাসের উপর হতে যায় এখনও দুই দেশের মধ্যে তৈরি রেল ব্যবস্থা পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়।

কবে চালু হবে দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল?

এরই মধ্যে উঠে এসেছে আরো বড় আপডেট। জানা যাচ্ছে, এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই ট্রেন চলাচল নির্ভর করছে বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর। আসলে বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনার পতনের পর তৈরি হয়েছে অরাজকতা। এছাড়াও বাংলাদেশে ভারত বিরোধী সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। অর্থাৎ বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্ক টালমাটাল অবস্থায় দাঁড়িয়ে। আর এই পরিস্থিতিতে ভারত বিচার বিবেচনা করেই চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে কবে রেল চলাচল সক্রিয় হবে তা এখনো অস্পষ্ট।

বিশিষ্ট মহল থেকে শোনা যাচ্ছে, আন্দোলনের প্রথম দিকে ভারত সরকার সাময়িকের জন্য ট্রেন ব্যবস্থা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পরবর্তীতে ভারতের তরফ থেকে ফের রেল চলাচলের উদ্যোগ দেখা দিলে, বাংলাদেশ সরকার বেঁকে বসেন। একেই দুই দেশের সম্পর্ক বৈরিতায় এসে ঠেকেছে। তার উপর বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্ককে আরো তলানির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

train

এই বিষয়ে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া গেলেই দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। তার আগে নয়। কিন্তু এহেন সিদ্ধান্তের কারণে সবথেকে সমস্যার মুখে পড়ছে যাত্রীরা। চিকিৎসার জন্য ভারতে আসা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com