রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন

আপনি কি অস্ট্রেলিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান

  • আপডেট সময় রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩
বিদেশে উচ্চশিক্ষার আশা নিয়ে অনেক শিক্ষার্থীই দেশের বাইরে পড়াশোনার সুযোগ খোঁজেন। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করা বেশ জনপ্রিয়। তবে শুধু বাংলাদেশে নয়, উচ্চশিক্ষা গ্রহণের দিক থেকে অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় জনপ্রিয়তম দেশ। বিশ্বের শীর্ষ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। তুলনামূলক অন্যান্য সমমানের দেশের তুলনায় কম খরচে এমন শান্তিপূর্ণ একটি দেশে মানসম্মত শিক্ষার কারণে উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে দেশটি প্রতিবছর হাতছানি দেয় হাজারো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে। তবে অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে আসার আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক খেয়ালে রাখতে হবে।
প্রস্তুতি নিতে হবে পরিকল্পনা করে
অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসাতে আবেদন করার আগে আবেদনকারীকে কয়েকটি দিক থেকে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়াতে আসতে হলে উদ্দেশ্য অবশ্যিই শিক্ষাই হতে হবে। অন্যথায় ছাত্র ভিসার জন্য আবেদন না করাই শ্রেয়। আর সে ক্ষেত্রে সত্যিকার মেধাবী হওয়াটাই প্রাধান্য পায় সবার আগে। এর পরপরই অর্থনৈতিক ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে। এখানে এসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও নিজের খরচ বহনের আর্থিক সচ্ছলতা আবেদনকারীর পরিবারের রয়েছে কিনা তা ভালো করে বিবেচনা করতে হবে। যদিও পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জনের অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়, সাপ্তাহিক 20 ঘন্টা কাজের অনুমতি আছে. তা দিয়া থাকা খাবার এবং উনিভার্সিটি বেতন মোটামোটি কভার করা যায় .
ইংরেজির দক্ষতা বাড়িয়ে নিতে হবে
বর্তমানে ইংরেজি ভাষার জ্ঞান প্রমাণের জন্য অনেক পরীক্ষা রয়েছে, “IETLS, PTE & OET” বেশি পরিচিত। অস্ট্রেলিয়ার আবেদনকারীরা যারা স্নাতক ডিগ্রি বা তার নিচে অধ্যয়ন করতে চান তাদের অবশ্যই ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষায় ন্যূনতম 5:50 পেতে হবে। কোর্স এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে, এটি উচ্চ স্কোর প্রয়োজন হতে পারে. এবং আবেদনকারী যদি স্নাতক ডিগ্রি, স্নাতকোত্তর অধ্যয়ন করতে চান তবে তার “IETLS, PTE & OET” তে ন্যূনতম 6 নম্বর থাকতে হবে। যাইহোক, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে উচ্চতর স্কোর প্রয়োজন, যা সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়।
বিষয় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ
বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরই উদ্দেশ্য থাকে স্টুডেন্ট ভিসায় বিদেশে গিয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়া বা স্থায়ীভাবে বসবাস করা। সেটা দোষের কিছু নয়। তবে সঠিক বিষয় নির্ধারণ করা অতি গুরুত্বপূর্ণ। উন্নত দেশগুলোতে তাদের দেশের বাজারে কোন পেশার কতটুকু চাহিদা সেটার একটা ‘ডিমান্ড লিস্ট’ থাকে, যেখানে সেসব বিষয়ের বিস্তারিত উল্লেখ থাকে। তো, চাহিদা বেশি, সে পেশাগুলোর বিষয়ে পড়াশোনা করলে চাকরি পেতে সহজ হয়। ডিমান্ড লিস্টে নেই এমন বিষয় নিয়ে পড়তে গেলে এ দিয়ে স্থায়ীভাবে অভিবাসনের জন্যও আবেদন করার সুযোগ থাকে না বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। এ ছাড়া অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই ডিমান্ড লিস্টে নেই এমন বিষয়ের টিউশন ফি বেশি দেখা যায়। আবার বিষয় ছাড়াও শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নামধামের কারণেই সেমিস্টার ফি অনেক পার্থক্য হয়। সেগুলো আগেভাগে দেখে নেওয়া ভালো। কারণ অনেকেই এখানে এসে খরচ বেশি বলে বিষয় পরিবর্তন করতে চান। কিন্তু তখন বিষয় পরিবর্তন করা অনেক জটিল হয়ে ওঠে। এমনও হয় এই বিষয় পরিবর্তন করা নিয়ে অনেকের ভিসাও বাতিল হয়ে যায়। তাই বিষয় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অস্ট্রেলিয়ায় সেরা পিআর (PR) কোর্সের তালিকা | 2022
1. প্রকৌশল
কৃষি প্রকৌশল, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োমেডিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যারোনটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং, এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আরও অনেক কিছু। গড় বেতন প্রতি বছর AU 85,000 ডলার হয়।
2. নার্সিং
আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ায় নার্সিং অধ্যয়ন করতে চান তবে নার্সিং (সার্জিকাল), নার্স (কমিউনিটি হেলথ), নার্স (মেন্টাল হেলথ), নার্স (চাইল্ড অ্যান্ড ফ্যামিলি হেলথ), নার্স (মেডিকেল প্র্যাকটিস) নার্স (পেডিয়াট্রিক) এবং আরও অনেক কিছু। গড় বেতন প্রতি বছর AU 75,000 ডলার হয়।
3. সামাজিক কর্মী
অস্ট্রেলিয়ার সামাজিক কাজের কোর্সগুলি সারা বিশ্ব থেকে শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। যাইহোক, শিক্ষার্থীরা সুবিধাবঞ্চিত লোকদের সাথে কাজ করার জন্য এই কোর্সগুলি পড়তে আগ্রহী। সুতরাং, সোশ্যাল ওয়ার্ক কোর্সের অধীনে, আপনি স্বাস্থ্য এবং কল্যাণ পরিষেবা, মনোবিজ্ঞান, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ইত্যাদির ক্ষেত্রে পড়াশোনা করতে পারেন. গড় বেতন প্রতি বছর AU 65,000 ডলার হয়।
4. মেডিকেল
অস্ট্রেলিয়ায় একটি মেডিকেল ডিগ্রি কোর্স অধ্যয়ন সত্যিই ভাল অর্থ প্রদানের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান স্বাস্থ্যসেবা শিল্পে স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের বিশাল চাহিদা রয়েছে। আপনি বিভিন্ন চিকিত্সা ক্ষেত্রে যেমন সোনোগ্রাফার, ফিজিওথেরাপি, স্ত্রীরোগ, নিউরোসার্জারি, অর্থোপেডিক্স, চর্মরোগবিদ্যা, রেডিওলজি, অনকোলজি, মেডিকেল ইমেজিং, জেনারেল মেডিসিন, প্রোস্টেটিক্স, ইউরোলজি এবং আরও অনেক বিষয়ে অধ্যয়ন করতে পারেন।
5. কম্পিউটার এবং তথ্য প্রযুক্তি (আইটি)
কম্পিউটার সায়েন্স এবং আইটি পেশাদারদের বিশ্বের যে কোনও জায়গায় প্রয়োজন, এবং অস্ট্রেলিয়াও এর ব্যতিক্রম নয়। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কম্পিউটার এবং আইটি ক্ষেত্রে যেমন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এবং সিস্টেমের বিভিন্ন কোর্স সরবরাহ করে।
এছাড়াও, আইসিটি ব্যবসা ও সিস্টেম বিশ্লেষণ, সফ্টওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন এবং প্রোগ্রামিং, ওয়েব বিকাশ ইত্যাদি etc. সুতরাং, অস্ট্রেলিয়ায় এই কোর্সগুলি অধ্যয়ন করা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক কেরিয়ারের সম্ভাবনা উন্মুক্ত করে। তবে আপনি যদি ব্যাংকিং, কেবল এবং মিডিয়া, আতিথেয়তা বা টেলিকম সেক্টরের জন্য কাজ শেষ করেন তবে আপনি উচ্চতর বেতন আশা করতে পারেন।
6. শিক্ষাব্যবস্থা
অস্ট্রেলিয়া উচ্চমানের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য পরিচিত। শিক্ষা এবং পাঠদানের ক্ষেত্রে কোর্স শেষ করার পরে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী আবাস (পিআর) এর জন্য আবেদন করতে পারে। অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক, বিশেষ প্রয়োজন শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক এবং অ-নেটিভ স্পিকারদের জন্য ইংরেজি শিক্ষকের মতো ক্যারিয়ারের সূচনা করে।
7. অটোমোটিভ
অস্ট্রেলিয়ায় অটোমোটিভ কোর্সগুলি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট সুযোগ উপস্থাপন করে যারা মোটর যান্ত্রিক বা স্বয়ংচালিত বৈদ্যুতিন হয়ে ওঠার আগ্রহী। তবে মোটরগাড়ি শিল্পে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কয়েকটি কাজ রয়েছে। এছাড়াও, আপনি একটি মোটরসাইকেল মেকানিক, স্বয়ংচালিত বৈদ্যুতিন, মোটর মেকানিক বা ডিজেল মোটর মেকানিকের জন্য আবেদন করতে পারেন।
8. ট্রেড কোর্স
অনেক অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট এবং কলেজগুলি এমন কোর্স সরবরাহ করে যা ওয়েল্ডার, ছুতার, প্লাম্বার, বৈদ্যুতিনবিদ, মন্ত্রিসভা নির্মাতা এবং আরও অনেক কিছুর চাকরি নিয়ে আসে। তবে অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাচেলর ডিগ্রি, শংসাপত্র তৃতীয় / চতুর্থ বা ডিপ্লোমা পাশাপাশি টিআরএ (ট্রেড রিকগনিশন অফ অস্ট্রেলিয়া) মূল্যায়ন অস্ট্রেলিয়ায় বাণিজ্য কাজের জন্য আবেদন করতে হবে। এছাড়াও, একটি বাণিজ্যের যোগ্যতার জন্য প্রতি বছর AUD 12,000 থেকে 14,000 এর মধ্যে খরচ হয়, যা একটি উচ্চতর ডিগ্রি কোর্সের চেয়ে কম।
র‌্যাঙ্কিং এবং তাদের টিউশন ফি সহ শীর্ষ অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ তালিকা
অস্ট্রেলিয়ায় শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তালিকা
নিম্নলিখিত টিউশন ফি মার্কিন ডলার হয় সচেতন হতে হবে
জাতীয় মান বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তর টিউশন (ইউএসডি $) স্নাতকোত্তর টিউশন (ইউএসডি $) সামগ্রিক স্কোর বিশ্ব র্যাঙ্ক
গার্হস্থ্য আন্তর্জাতিক গার্হস্থ্য আন্তর্জাতিক
1 অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
6,000 – 8,000 40,000 – 42,000 22,000 – 24,000 28,000 – 30,000 87.6 #24
2 মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়
6,000 – 8,000 4,000 – 6,000 6000 – 8000 6000 – 8000 83.2 #36
3 সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়
6,000 – 8,000 30,000 – 32,000 22,000 – 24,000 28,000 – 30,000 81.3 #39
4 কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়
6,000 – 8,000 26,000 – 28,000 10,000 – 12,000 28,000 – 30,000 78.2 #46
5 নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়
6,000 – 8,000 32,000 – 34,000 8,000 – 10,000 32,000 – 34,000 76.6 #52
6 মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়
8,000 – 10,000 30,000 – 32,000 16,000 – 18,000 30,000 – 32,000 72.2 #61
7 পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়
6,000 – 8,000 30,000 – 32,000 18,000 – 20,000 30,000 – 32,000 70 #79
8 অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়
6,000 – 8,000 26,000 – 28,000 14,000 – 16,000 28,000 – 30,000 65.3 #102
9 ম্যাককারি বিশ্ববিদ্যালয়
6,000 – 8,000 6,000 – 8,000 2,000 – 4,000 * 8,000 – 10,000 44.7 #233
10 RMIT বিশ্ববিদ্যালয়
18,000 – 20,000 22,000 – 24,000 14,000 – 16,000 24,000 – 26,000 42.8 #246
11 কার্টিন ইউনিভার্সিটি
6,000 – 8,000 * 26,000 – 28,000 10,000 – 12,000 28,000 – 30,000 41.5 #258
12 উইলংং বিশ্ববিদ্যালয়
4,000 – 6,000 18,000 – 20,000 6,000 – 8,000 20,000 – 22,000 41.1 #264
13 নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়
6,000 – 8,000 22,000 – 24,000 12,000 – 14,000 24,000 – 26,000 41 #268
14 কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় অফ টেকনোলজি (অস্ট্রেলিয়া)
6,000 – 8,000 22,000 – 24,000 18,000 – 20,000 22,000 – 24,000 40.2 #281
15 প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিডনি (অস্ট্রেলিয়া)
20,000 – 22,000 20,000 – 22,000 18,000 – 20,000 22,000 – 24,000 40 #284
16 দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (অস্ট্রেলিয়া)
6,000 – 8,000 * 22,000 – 24,000 16,000 – 18,000 * 24,000 – 26,000 39.3 #293
17 ফ্লিন্ডারস ইউনিভার্সিটি (অস্ট্রেলিয়া)
6,000 – 8,000 12,000 – 14,000 6,000 – 8,000 10,000 – 12,000 34.8 #342
18 তাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (অস্ট্রেলিয়া)
6,000 – 8,000 * 22,000 – 24,000 16,000 – 18,000 * 22,000 – 24,000 33.8 #357
19 জেমস কুক ইউনিভার্সিটি (অস্ট্রেলিয়া)
6,000 – 8,000 * 20,000 – 22,000 4,000 – 6,000 18,000 – 20,000 33.5 #362
20 গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি (অস্ট্রেলিয়া)
16,000 – 18,000 20,000 – 22,000 18,000 – 20,000 22,000 – 24,000 33 #368
21 লা ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয় (অস্ট্রেলিয়া)
20,000 – 22,000 22,000 – 24,000 14,000 – 16,000 22,000 – 24,000 32.8 #375
22 বন্ড ইউনিভার্সিটি (অস্ট্রেলিয়া)
30,000 – 32,000 30,000 – 32,000 30,000 – 32,000 30,000 – 32,000 32.4 #380
23-24 দেকিন ইউনিভার্সিটি (অস্ট্রেলিয়া)
6,000 – 8,000 22,000 – 24,000 14,000 – 16,000 24,000 – 26,000 # 401- 450
23-24 মারডোক ইউনিভার্সিটি (অস্ট্রেলিয়া)
8,000 – 10,000 * 24,000 – 26,000 20,000 – 22,000 * 26,000 – 28,000 # 401- 450
25 সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (অস্ট্রেলিয়া)
<2000 18,000 – 20,000 16,000 – 18,000 20,000 – 22,000 # 451- 500
26 ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় (অস্ট্রেলিয়া)
30,000 – 32,000 16,000 – 18,000 30,000 – 32,000 # 601 + +
শেষ তারিখ ও সর্বশেষ খবর জানতে হবে
যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে যাওয়ার ইচ্ছে, আবেদন করতে গিয়ে দেখা গেল ভর্তির শেষ সময়টাই পার হয়ে গেছে অথবা ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হলেও দেখা গেল কিছুদিন আগেই নির্বাচিত বিষয়টি ডিমান্ড লিস্ট থেকে বাতিল হয়ে গেছে। তাই যত দূর সম্ভব ভর্তি, ভিসা ও কাগজপত্র জমা দেওয়া সংক্রান্ত সকল নির্ধারিত তারিখ ও সর্বশেষ খবর সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। ডিমান্ড লিস্টের হালনাগাদ সম্পর্কেও সুস্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। এ জাতীয় সকল কাজের শেষ খবরাখবরের আপডেট রাখতে হবে নিপুণভাবে।
স্পনসর বা গ্যারান্টর নিশ্চিত করুন
অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসায় আসতে হলে ব্যাংকে টাকা দেখাতে হয়। বিষয়টা অনেকটা এ রকমই। অস্ট্রেলিয়ায় ভিসা আবেদন করতে গেলে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, এ দেশে এসে যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে। এ জন্য আবেদনকারীর অভিভাবক বা আত্মীয়ের ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা আছে সে প্রমাণ দেখাতে হবে। একে সাধারণত ‘স্পনসরশিপ বা গ্যারান্টর’ বলে। তবে অভিভাবকের সেই সামর্থ্য না থাকলে এমন একজন স্পনসরের প্রয়োজন হবে যিনি তার ব্যাংকে আবেদনকারীর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রাখবেন যা নিশ্চিত করবে যে, আবেদনকারীর পড়াশোনার খরচ তিনি চালাবেন। তবে এ জন্য কোনো নগদ অর্থ ব্যয় করতে হয় না। সাধারণত ব্যাংকে টাকা জমা রাখার প্রমাণপত্রই যথেষ্ট। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দূতাবাস তদন্ত করে দেখে এই টাকা সত্যি সত্যি আছে কি না অথবা বৈধ বা কর পরিশোধিত কিনা। আগে নিজেই নিজের স্পনসর হতে পারা যেত তবে এমন ঘটনা খুব কম। বর্তমান নিয়মে আত্মীয়-স্বজন অথবা অন্য কেউ স্পনসর বা গ্যারান্টর হতে পারে কিন্তু যতটুকু জানা যায় বাংলাদেশ থেকে ভিসা আবেদন করলে মা-বাবার আর্থিক সামর্থ্যতাকেই অর্থাৎ মা-বাবাকেই স্পনসর বা গ্যারান্টর হিসেবে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
জীবনযাপন খরচ
১ জুলাই ২০21 থেকে ১২ মাসের জন্য খরচ একজন ছাত্রের জন্য ১৯ হাজার ৮৩০ ডলার দেখাতে হবে এবং যদি কোর্স ফি তিন বছরের জন্য ৫০ হাজার ডলার হয় তবে এক বছরের পরিমাণ ১৬ হাজার ৬৬০ ডলার আর সঙ্গে অন্যান্য খরচ করে স্পনসরের ব্যাংকে দেখাতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার অভিপ্রায় হতে হবে অস্থায়ী
সমস্ত ছাত্র ভিসা আবেদনকারীদের এটা প্রমাণ করতে হবে যে তাদের অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাওয়ার অভিপ্রায় হচ্ছে অস্থায়ী। অর্থাৎ পড়াশোনা করে নিজ দেশের চলে আসার ব্যাপারটা নিশ্চিত হলেই ভিসা কর্মকর্তা ভিসা মঞ্জুর করেন।
ওপরের উল্লেখিত স্টুডেন্ট ভিসার সাধারণ ধারণার স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করতে হলে পরে ধাপে ধাপে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য করতে হবে।
স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করতে হলে
অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করতে হলে প্রথমেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় নিবন্ধিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরাসরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মনোনীত এজেন্টদের কাছে আবেদন করতে হবে। পূর্ণকালীন মেয়াদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি ভর্তি মঞ্জুর করে তবেই স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করা যাবে দেশটিতে।
যেখানে আবেদন করতে হবে
বাংলাদেশে অবস্থানরত আবেদনকারীরা এখন সরাসরি অনলাইনে ইমি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারেন। ওয়েবসাইটের এই লিংকে অনলাইন <online.immi.gov.au/lusc/login> আবেদন করা হয়।
ভিসা সংশ্লিষ্ট যেসব কাগজপত্র সাধারণত প্রদান করতে হয়
ভিসা সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র স্ক্যান করে ভিসা আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হয়। কোনো কাগজ ইংরেজিতে না হলে সেটা অনুমোদিত অনুবাদকের কাছ থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে যুক্ত করতে হবে।
আবেদনপত্রে যুক্ত করণীয় কাগজপত্র
*সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির অনুমতি সংক্রান্ত চিঠি (কর্নফারমেশন অব এনরোলমেন্ট)
*স্বাস্থ্য বিমার প্রমাণপত্র—সাধারণত ভর্তির অনুমতি সংক্রান্ত চিঠির সঙ্গেই থাকে।
*জাতীয় পরিচয়পত্র।
*জন্ম সনদ।
*বর্তমান ও আগের পাসপোর্টের ব্যবহৃত পাতা।
*শিক্ষাগত যোগ্যতা (সকল বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট) ও কর্ম-অভিজ্ঞতা সনদ।
*অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে দেওয়া বিবৃতি যা ‘স্টেটমেন্ট অব পারপাস’ হিসেবে পরিচিত। যেখানে সংশ্লিষ্ট কোর্সের মাধ্যমে আবেদনকারী কীভাবে উপকৃত হবেন তার ব্যাখ্যা থাকবে।
*পূরণকৃত অর্থনৈতিক সামর্থ্যের (স্পনসর বা গ্যারান্টর) ফরম।
*স্পনসরের সঙ্গে আবেদনকারীর সম্পর্কের প্রমাণ হিসেবে জন্ম-সনদ, পাসপোর্ট কিংবা স্কুলের কাগজপত্র।
*স্পনসরের আয়ের উৎসের বিস্তারিত কাগজপত্র।
*সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করার ইতিহাস থাকলে সেখানে কাজের রেকর্ড ও ছাড়পত্র।
*কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (১২ মাসের বেশি পুরোনো নয়)।
*বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী, সন্তানদের সম্পর্কের প্রমাণ হিসেবে জন্ম সনদ ও বিবাহ সনদ।
*স্বামী-স্ত্রী কেউ মারা গিয়ে থাকলে বা বিচ্ছেদ হয়ে থাকলে মৃত্যুসনদ বা বিচ্ছেদসংক্রান্ত কাগজপত্র।
*স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রমাণপত্র।
ভিসার আবেদন ফি ও জমাদান পদ্ধতি
ভিসা আবেদনপত্র পূরণ করা শেষ হলে আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই ভিসা ফি দিতে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করতে 630 অস্ট্রেলিয় ডলার বা তার সমমূল্য টাকা ভিসা ফি হিসেবে অনলাইনে ক্রেডিট কার্ডেও পরিশোধ করা যায়।
ভিসা আবেদন করা হয়ে গেলে
ইমি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করা হয়ে গেলে ভিসাটি যাচাই করে কিছুদিনের মধ্যেই যদি প্রয়োজন হয় তাহলে অতিরিক্ত তথ্য চেয়ে ভিসা বিভাগ ইমেইল করতে পারে। এ ছাড়া ইমি অ্যাকাউন্টেই ভিসার অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যাবে। ভিসা মঞ্জুর হয়ে গেলে ভিসা নম্বর ও শর্তাবলি জানিয়ে দিয়ে আবার ভিসা বিভাগ ইমেইল করে। আর ভিসা মঞ্জুর না হলে এর কারণগুলোও জানিয়ে দেওয়া হয়।
ভিসা হয়ে গেলে
ভিসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল আবশ্যিক শর্ত এবং এক সেমিস্টারের টিউশন ফি জমা দিলে সাধারণত স্টুডেন্ট ভিসা মঞ্জুর হয়। তারপর উড়োজাহাজে চেপে স্বপ্নের পাখা মেলে ধরতে আর কোনো বাধা থাকে না। তবে একটা ধাক্কা অস্ট্রেলিয়া এসে অনেকই খান। সেমিস্টার ফি, বিমানের টিকিট, মাসখানিক চলার মতো নগদ অর্থ সব মিলিয়ে প্রায় লাখ দশেক টাকা খরচ করার পর কিছুদিনের মধ্যেই আবার যখন সেমিস্টার ফিসহ অন্যান্য খরচের জন্য বিশাল অঙ্কের টাকার প্রয়োজন পড়ে, তখন ধাক্কাটা অনেক বড় লাগে। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর নিজের খরচটা নিজেকেই জোগাড় করতে হয়।
এ দেশে আসা প্রায় সব শিক্ষার্থীরা এমনটাই করেন। কিন্তু বাংলাদেশে থাকতে সাধারণত যেহেতু কেউ কাজ করেন না, কিন্তু এখানে এসে খরচ জোগাড় করতে গিয়ে অনেকেই একাধিক রাতদিন কাজ করে হাঁপিয়ে ওঠেন। সে জন্য দেশে থাকতেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হবে কঠোর পরিশ্রম করার, যদি না পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হয়। এখানে কাজের ফাঁকে লেখাপড়া নয়, লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকেই কাজ করতে হয়। পড়াশোনা অবিশ্যি পুরোপুরি ঠিকভাবে চালিয়ে যেতে হয়। কোর্স নির্দিষ্ট সময়েই শেষ হয়। ক্লাসে উপস্থিতির হার ও পরীক্ষায় পাশের গরমিল হলে ভিসা যেকোনো মুহূর্তেই বাতিল হয়ে যেতে পারে। আর এটা কথার কথা ভাবলে বিপদ নিশ্চিত।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com