প্রযুক্তিগত গবেষণা ও বিভিন্ন ফিচারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছে বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম রিং আইডি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের মধ্যে ডিজিটাল বাইবেল খ্যাত ফোর্বস, বাজফেড, ইয়াহু ফাইন্যান্স, টেক কো, ডিজিটাল জার্নাল, আই ডিজিটাল টাইমস্, দ্য টেকনিউজ, জুমইট, আর্গাম, আকবারিলিয়াম ও বারসাম উল্ল্যেখযোগ্য।
ম্যাসেজিং, ভয়েসকল, ভিডিওকল ও নিউজফিড (টাইমলাইন) নিয়ে প্রাথমিক যাত্রাকালেই প্রায় ২৫০টিরও অধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রশংসিত হয় সামাজিক ব্যবসায়িক মূল ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ২০১৪ সালে এর যাত্রা শুরু হলেও প্রযুক্তিগত গবেষণা ও বিভিন্ন ফিচার নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে এর উদ্যোক্তাগণ কাজ করে যাচ্ছেন।
রিং আইডি ডিজিটাল ক্ষেত্রে এমন প্রথম প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠান যারা সিক্রেট চ্যাটের মতো স্বয়ংক্রিয়-মুছনিয় খুদে বার্তা প্রযুক্তির সঙ্গে নেটিজেনদের পরিচয় করিয়ে দেয়। যে কারণে রিং আইডিকে স্ন্যাপচ্যাটের মতো বহুল জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক একটি অ্যাপ থেকেও ব্যবহারকারীবান্ধব হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে রিং আইডি বিশ্বে প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যারা ইন্টারেক্টিভ লাইভ ভিডিও প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় বিশ্বকে। দুই বছরে ১০ লাখ ব্যবহারকারীর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় রিং আইডি এবং গুগল প্লেস্টোরের সর্বোচ্চ ডাউনলোডের শীর্ষ দশের তালিকার প্রথমদিকে স্থান করে নেয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশিত রুপরেখা বাস্তবায়নের সহযোগী হিসেবে একটি পুর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে পরিণত করা হয় রিং আইডিকে; যা প্রতিমুহূর্তে ক্রমবর্ধমান ও নিত্য পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি সন্নিবেশন ঘটিয়ে চলেছে। যে কোনো ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশনেরই মূল লক্ষ্য থাকে ব্যবহারকারী যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আকৃষ্ট হয় অ্যাপের প্রতি। আর রিং আইডির অন্যতম লক্ষ্য হলো ব্যবহারকারীর সামাজিক যোগাযোগের পাশাপাশি আয়ের সুযোগ তৈরি করে দেয়া। এসব কার্যক্রমের মধ্যে রিং আইডি এজেন্ট, রিং আইডি অ্যাম্বাসেডর এবং রিং আইডি ব্রান্ড প্রোমোটার উল্লেখযোগ্য।
কন্টেন্ট দেখা ও শেয়ার করা, পণ্য বিক্রয়, সেবা বিক্রয় কিংবা অন্যান্য প্রদত্ত কাজের সফল সমাপ্তির বিপরীতে রিং আইডি অ্যাপে ব্রান্ড প্রোমোটারের পৃথক হিসাব সংরক্ষিত রয়েছে। কমার্শিয়াল কন্টেন্ট ছাড়াও যে কোনো রাষ্ট্রীয়/সামাজিক প্রচারণার ক্ষেত্রে ব্রান্ড প্রমোটারগণ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম। যেমন- রাষ্ট্রীয় জরুরি ঘোষণা, পজেটিভ ও উন্নয়ন বার্তা, গুজব প্রতিহত করা একইসঙ্গে সহিংসতা প্রশমন।
প্রতিবছর দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ (২০২১ সালে সম্ভাব্য ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) শুধুমাত্র ডিজিটাল এডের নামে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে; অথচ এড (বিজ্ঞাপন) প্রদানকারী ও ভোক্তা উভয় পক্ষই আমাদের দেশের নাগরিক হলেও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে ভিন দেশের তৃতীয় পক্ষ। আর এই অর্থ (ডিজিটাল এড) দেশের সীমানা অতিক্রম করতে না দেয়া এবং সে অর্থ থেকে ভোক্তাকে আংশিক প্রদানপূর্বক স্বদেশী অ্যাপ ব্যবহারে আগ্রহী করে তোলা ও আয়ের একটা ভিন্ন মাধ্যম তৈরি করাই রিং আইডির লক্ষ্য।
২ কোটির বেশি ব্যবহারকারী নিয়ে রিং আইডি এখন এশিয়ার অন্যতম ডিজিটাল আকর্ষণ, যা প্রতি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ছে দেশ ও দেশের বাইরে। রিং আইডি সক্রিয় ও নিয়মিত ব্যবহারকারী তৈরিতে বদ্ধপরিকর হওয়ায় ইতোমধ্যে চারটি বহুজাতিক কোম্পানি ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানে এবং আগাম বিনিয়োগকারী হিসেবে হ্রাসকৃত মূল্যমান ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রিং আইডিতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যা চলমান (Due diligence) রয়েছে এবং এর সফল সম্পাদন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখার পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
ইত্তেফাক